নিজস্ব প্রতিবেদক: লঞ্চের ভাড়া ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর আগে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ১৮ টাকা।
রোববার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। টানা ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় লঞ্চ মালিক সমিতি ও বিআইডব্লিটিএ।
এ সিদ্ধান্তের পর প্রত্যাহার করা হয়েছে চলমান লঞ্চ ধর্মঘট। ফলে আজ থেকেই লঞ্চ চলবে।
বৈঠক শেষে গোলাম সাদেক জানান, লঞ্চভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা ৩০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
ভাড়া বৃদ্ধির পর লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত উদ্যোগে সর্বমহলে কথা বলেছেন এবং সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আপনারা সেটি জানেন। এই সিদ্ধান্ত সব মালিকদের সাথে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে। আমি তাদের অনুরোধ করব এই মুহূর্ত থেকেই বর্তমান ভাড়া বিবেচনা করে যেন জাহাজ চলাচল শুরু করা হয়।
সবশেষ ২০১৩ সালে যাত্রীবাহী নৌযানের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই সময় ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য জনপ্রতি ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য ১ টাকা ৪০ পয়সা এবং জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা নির্ধারিত হয়।
সরকার গত ৪ নভেম্বর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নৌযানের পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌযান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ৬ নভেম্বর রাতের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় নৌযান পরিচালনা বন্ধ করে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে শনিবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। এদিন সকাল থেকে ধর্মঘটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও মালিকরা টার্মিনাল থেকে লঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে নেন।
গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে সরকার। এর প্রতিবাদে লঞ্চমালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি তোলেন।
এমআই