গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে। কারণ, কক্সবাজারে কোন রক্ষের হুলি খেলা দেখতে চাই না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক সময় কক্সবাজার সমু্দ্র সৈকতে রাত কাটানো যেত না। পর্যটকরা ভয়ে থাকত। সব সময় চুরি, ছিনতাইয়ের আখড়া ছিল। কিন্তু, আজ বর্তমান সরকারের আমলে সেই সমুদ্র সৈকতে রাতদিন নি:সন্দেহ বসে থাকা যায়। সবকিছু সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। আজ পর্যটন তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে। তাই, কোন ধরণের অপরাধে না জড়াগে রোহিঙ্গাদের প্রতি অনুরোধ করেন।
সোমবার (০৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টারদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তরের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, পর্যটকদের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোর্শেদুর আনোয়ার খান, বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।
এর আগে বিকাল ৩ টারদিকে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে ৩ দিনব্যাপী ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্বোধন করা হয়। পরে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বিচ থেকে লাবণী বিচ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি অংশ নেয়।
সময় জার্নাল/এলআর