আব্দুল্লাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৭ নং একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার প্রার্থী) জসিম উদ্দিনের মোরগ মার্কার নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলাকারীদের আঘাতে অফিসে থাকা প্রার্থীর ছেলে, ভাই সহ ৫ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো প্রার্থীর ছেলে অলেন (১৬) ভাই আবদুল মন্নান (৫৫) মো রাসেল (৩৫), সাইফুল (৩৭) আজিম (৪৫)। আহতদের মধ্যে রাসেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় হাসানহাট পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রার্থী জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনের মতো তিনি নির্বাচনী প্রচারনায় মাঠে ছিলেন। সকালে তার নির্বাচনী অফিসে তার ভাই, ছেলেসহ ৬/৭ জন বসেছিল। হঠাৎ প্রতিপক্ষ প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ তার বাহিনীর প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে গণমিছিল সহকারে আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে তান্ডব চালায়।
এ সময় ভয়ে লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি করে। সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে অস্ত্র নিয়ে এসে আমার ছেলে,ভাই ও কর্মিদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ৫জন লোক আহত হয়েছে। নির্বাচনে আমার নিশ্চিত বিজয় জেনে তারা এ পরিকল্পিত হামলা চালায়।
এদিকে প্রার্থীর বড়ভাই ভাই আহত আজীম অভিযোগ করেন, তার দোকানে ও একই সময় তারা হামলা করে তাকে মারধর করে দোকানের মালামাল লুট করে দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৫৪ মিনিটের দিকে আরেক ইউপি সদস্য প্রার্থী মোয়াজ্জেন হোসেনের ফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুর হক রনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুই প্রার্থীই পাল্টা পাল্টি মৌখিক অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর