বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সফটওয়্যারের মাধ্যমে ঠিক হবে ফসলের ডিমান্ড ও সাপ্লাই

শুক্রবার, নভেম্বর ১২, ২০২১
সফটওয়্যারের মাধ্যমে ঠিক হবে ফসলের ডিমান্ড ও সাপ্লাই

সময় জার্নাল ডেস্ক: চাহিদা নিরূপণ করে উৎপাদন পরিকল্পনার বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার তথ্যে ভিন্নতা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ২৮টি ফসলের প্রকৃত চাহিদা ও জোগান নিরূপণ করবে সরকার। ফসলগুলোর চাহিদা স্ট্যাডি করে একটি পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত প্রতিবেদন তৈরি করতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলকে (বিএআরসি) দায়িত্ব দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞ টিমের তত্ত্বাবধানে ২৮টি ফসলের মাঠ পর্যায়ের ও গবেষণালব্ধ তথ্য সংগ্রহের পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফসলগুলোর চাহিদা নিরূপণ করা হবে। ২০৫০ সাল পর্যন্ত এসব ফসলের চাহিদার পূর্বাভাস দেওয়া হবে। ফসলের চাহিদা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আগামীতে উৎপাদনসহ এসব ফসলের বিষয়ে অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা চেয়ে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তহবিল পাওয়া সাপেক্ষে আগামী বছরের জুনের মধ্যে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিএআরসি।

ধান, গম, ভুট্টা, আলু, মিষ্টি আলু, পাট, শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি, সরিষা, চীনাবাদাম, তিসি, তিল, সয়াবিন, সূর্যমুখী, মসুর, ছোলা, মুগ, মাসকলাই, খেসারি, মটর, অড়হর, ফেলন, পেঁয়াজ, রসুন, ধনিয়া, মরিচ, আদা, হলুদ ও কালোজিরা- এই ২৮টি ফসলের চাহিদা ও সরবরাহ নির্ধারণ করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মো. আবদুর রৌফ বলেন, বিভিন্ন ফসলের চাহিদার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিভিন্ন সংস্থার চাহিদার যে তথ্য রয়েছে, তাতে ভিন্নতা রয়েছে। চাহিদার সঠিক তথ্য না থাকলে উৎপাদন পরিকল্পনা সঠিকভাবে হয় না। তাই চাহিদার সঠিক তথ্যের জন্য বিএআরসির মাধ্যমে স্ট্যাডিটা করা হচ্ছে। এটা ফসলের উৎপাদন, মূল্য নির্ধারণসহ এই ২৮টি ফসলের বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, ২৮টি ফসলের সরবরাহ ও চাহিদা স্ট্যাডি করা হবে। এজন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় অর্থ চাওয়া হয়েছে। এটা পেলে তখন হয়তো ছয় মাসের মধ্যে আমরা কাজটা করে ফেলতে পারবো।

তিনি বলেন, আমরা অনেক রকম কথাবার্তা বলি কিন্তু আমাদের কোনো সিস্টেমেটিক স্ট্যাডি নেই। ২০৫০ সাল নাগাদ এসব ফসলের ক্ষেত্রে আমাদের সাপ্লাই ও ডিমান্ডটা কেমন হবে, অনেকগুলো প্যারামিটারের ভিত্তিতে আমরা সেটা ঠিক করতে পারবো।

‘এজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সফটওয়্যার আছে, সেই সফটওয়্যারের সহায়তায় আমরা কাজটি করবো। তাহলে সেটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড রিকগনাইজড হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত নেওয়ার পর আমরা এই কাজটি করবো।’
ফসলের উৎপাদন, চাহিদা, জোগান বের করে মডেলের মাধ্যমে আমরা ফোরকাস্ট করবো। ২০৩০, ২০৩৫, ২০৪০, ২০৪৫ সালে কী পরিমাণ উৎপাদন করতে হবে সেই বিষয়ে পূর্বাভাস দিতে পারবো।

পূর্বাভাসের ওপর ভিত্তি করে সরকার কোন ফসলের ওপর গুরুত্ব দেবে সেটা ঠিক করে নিতে পারবে জানিয়ে মোশাররফ উদ্দিন মোল্লা বলেন, উৎপাদনের তথ্য মোটামুটি একটা আছে। কিন্তু সাপ্লাই ও ডিমান্ড কী পরিমাণ আছে, সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য নেই।

‘কৃষি অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞ টিমের সমন্বয়ে এই স্ট্যাডি করা হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ডাটা সংগ্রহের পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফোরকাস্টিংটা করা হবে। বিদেশ থেকে এই সফটওয়্যার কিনতে হবে।’

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল