গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে পর্যটকবাহী জাহাজটি ছেড়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছায়। মাত্র আড়াই ঘন্টার যাত্রা পথে নাফনদী বিধোত মিয়ানমার-বাংলাদেশের পাহাড়,নদী ও সাগর- এই তিন সৌন্দর্য্য এক সঙ্গে উপভোগ করার সুযোগ হয়েছে পর্যটকদের।
অনেক দিন পর সেন্টমার্টিন যাওয়ার এমন সুযোগ পেয়ে খুশি ভ্রমণ পিপাসুরা। নাচ, গান আর আড্ডায় স্বপ্নের দ্বীপ সেন্টমার্টিন পৌঁছে যান পর্যটকরা। ৩১০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাত্রা শুরু করেছে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন।
সকাল হতে না হতেই জাহাজঘাটে মানুষের দীর্ঘ লাইন। উদ্দেশ্য টেকনাফ দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন যাত্রা। ঘড়ির কাটায় সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে দেয় জাহাজ। এরপর শুরু হয় টেকনাফ -সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজে সমুদ্র ভ্রমণের আনন্দময় যাত্রা।
এর আগে, সোমবার (১৫ নভেম্বর) এ মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমোদন দেয় প্রশাসন। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে সাত মাস পর আবারো প্রশাসনের অনুমতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতে ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে সমুদ্র বিহার যাত্রা শুরু হয়েছে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, সকালে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন পর্যটকবাহী জাহাজে করে ৩১০ যাত্রী সেন্টমার্টিন দ্বীপে শুরু করেছে। অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ জাহাজটি চলাচল শুরু করেছে। এছাড়া পর্যটকদের উঠা-নামার সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য দ্বীপে সংস্কার হওয়া জেটিতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত এ রুটে আরও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, এ বছর সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলের অনুমতির জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে আবেদন করেছে পারিজাত, ফারহান, রাজহংস, সুকান্ত বাবু, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রোজ অ্যান্ড ডাইন নামে ৬টি জাহাজ। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সব ডকুমেন্টস জেলা প্রশাসনে আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম জাহাজ ভালোমতো ফেরত এলে বাকিরা চলাচলের অনুমতি পাবে।
সময় জার্নাল/এলআর