মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলা দক্ষিণ হামছাদী এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ধামাচাপা ও সালিস করার অপরাধে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল বাতেনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার আলীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অন্য দুই আসামীরা হচ্ছে জাহিদুল আলম ও ছাদেকুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার রাতে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মসজিদভিওক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম হোসেনসহ ৯ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার মসজিদভিওক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম কেন্দ্রে ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ালেখা করছে ওই শিশু। প্রতিদিনের মত ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে গণশিক্ষা কেন্দ্রে পড়তে আসে শিশু। এসময় একা পেয়ে গনশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ।
পরে শিশুকে উদ্ধার করে তার পরিবার বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাতেনসহ কয়েকজন মিলে ঘটনাটিকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া শিশুর পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে বৈঠক করে ৭৫ হাজার টাকা রায় প্রদান করেছেন স্থানীয় সালিসরা।
এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর শুক্রবার রাতে শিশুর বাবা সদর থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার ধামা-চাপা দেয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামীসহ অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
সময় জার্নাল/এমআই