জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় গত ১২ নভেম্বর। ইতিমধ্যে প্রতীক পাওয়ার পর ১২ দিন কেটে গেলেও প্রচারের মাঠে নেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মইন উদ্দীন। তাঁর পক্ষ থেকে টাঙানো হয়নি ব্যানার-পোস্টারও। কারণ প্রতীক পছন্দ হয়নি তাঁর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে এলাকা। পোস্টার টাঙানো, মাইকিং, উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্নভাবে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। কিন্তু ব্যতিক্রম রজনীগন্ধা পাওয়া মইন। নির্বাচনী প্রচারণার কোনো মাইকিং করা হচ্ছে না তাঁর পক্ষে। ভোটারদের কাছে গিয়েও ভোট চাইছেন না তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মইন উদ্দীন জানান, প্রতীক পছন্দ না হওয়ায় নির্বাচনে প্রচারণা বন্ধ রেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় ছাতা প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছিলাম। ছাতা না দিয়ে রজনীগন্ধা প্রতীক দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই প্রতীক আমার একদম পছন্দ হয়নি। প্রতীকের কথা শুনেই মন ভেঙে গেছে। তাই নির্বাচনের প্রচারণা করছি না। ছাতা প্রতীক দিলে দিলে আমি অবশ্যই প্রচারণা করতাম এবং জয়যুক্ত হতাম।’
মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এলাকায় কোনো জনপ্রিয়তা নেই মইন উদ্দীনের। দলের কোনো পদেও তিনি নেই। তাই ফরম জমা দিয়ে নির্বাচন না করে চুপ করে বসে আছেন। তা ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করলে ১০০ ভোটও পাবেন না। এর চেয়ে ফরম প্রত্যাহার করলেই ভালো ছিল।’
চাড়োল ইউনিয়নের সাবাজপুর গ্রামের খাদেমুল ইসলাম, সুলতান আলী, নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ পর্যন্ত তাঁদের কাছে ভোট চাইতে এসেছের চারজন প্রার্থী। আরেকজন প্রার্থীকে চেনেন না, এখন পর্যন্ত কোনো পোস্টার টাঙাতেও দেখেননি বলে জানান তাঁরা।
চাড়োল ইউনিয়নে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী মইন উদ্দীন আমাদের কাছে ছাতা প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ছাতা প্রতীক দেওয়ায় কোনো সুযোগ না থাকায় রজনীগন্ধা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন নির্বাচনে যদি তিনি প্রচারণা না করেন, এখানে আমাদের কোনো কিছু করার নেই।’
উল্লেখ্য, চাড়োল ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৪৩৯ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৮৯ জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭২ জন। আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সময় জার্নাল/এলআর