বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চশমা সমাচার

শুক্রবার, নভেম্বর ২৬, ২০২১
চশমা সমাচার

আবদুর রব শরীফ 
.
আমার বন্ধু ছোট কাল থেকে চশমা চোখে দেয়, তার ছাত্রী একদিন তাকে বলে, 'স্যার এতোদিন জানতাম যারা চালাক তারাই শুধু চশমা পরে আর এখন.....'
.
আরেক বন্ধুর মতে, চশমা দিলে স্মৃতিকে ও স্পষ্ট দেখা যায়! কি লজিক রে বাবা! আসলে মূল বেপার হলো স্মৃতি একটি মেয়ের নাম ছিলো।
.
আমরা যারা মাইনাস পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করি তারা জানি চশমা ছাড়া দূরের জিনিস স্পষ্ট না দেখার কি যে যন্ত্রণা!
.
একবার বিশাল সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কার থেকে কে বেশী মেনে চলে তার বয়ান হচ্ছিলো, হঠাৎ একজন সেখানে থেকে উঠে চলে যাচ্ছে তাকে দেখা নেতা সাহেব বললেন, যাচ্ছেন কই? তিনি বললেন, চশমার ডাক্তারের কাছে কারণ খালি চোখে আমি কারো মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দেখতে পাচ্ছি না!
.
সত্যি বলতে সবাই চশমা পরলে লোকে তাকে জ্ঞানী ভাবে আর আমাকে দেখলে ভাবে, ঐগুলা দেখে দেখে তো চোখের বারোটা বাজিয়েছো, এবার এক্কান বিয়ে করো!
.
প্রিয় পাঠক, ঐগুলা বলতে ওরা পাত্রী বুঝায়, আপনারা আবার ভিন্ন কিছু খুঁজতে যাইয়েন না।
.
চশমা কিনলাম, ফটোপনিক গ্লাস, রোদে গেলে কালো হয়ে যায়, সেদিন সূর্যের আলোয় এলাকার মুরুব্বির সাথে দেখা! উনি তো বিড়বিড় করে বলতেছিলেন, মুরুব্বির সামনেও এলাকার ছেলেরা আজকাল সানগ্লাস পরে হাঁটে, কি এক বিড়ম্বনা!
.
তবে আরেকটি বিয়ে করার ইচ্ছে বউকে বলতে না পারলে, আজ বাসায় গিয়ে এভাবে বলুন, চশমা কিনলে এক জোড়া কিনা উচিত, যাতে একটা হারায় গেলে আরেকটা দিয়ে খোঁজ করা যাবে!
.
তবুও দূরের জিনিস দেখার জন্য চশমা দেওয়া লোকও আরো গভীরভাবে দেখতে হলে চশমার ফ্রেমের উপর দিয়ে খুব ভালো দেখছে কিংবা খবর আছে, এমন ভাব ধরে কেনো দেখে তা খুঁজে পাইনা!
.
সন্দ্বীপের এক লোক গেছে চশমার ডাক্তারের কাছে, ডাক্তার তার চোখ দেখে বললো, এই পাওয়ারের চশমা নেওয়ার পর আপনি পড়তেও পারবেন! তখন ডাক্তার তার চোখের সামনে দুটো কাঁচ দিয়ে বললেন, পড়তে পারছো? সে বললো না! ডাক্তার আবার পাওয়ার চেঞ্জ করলো, সে বললো পড়তে পারছি না! এবার ডাক্তার ধমক দিলে সে বললো, স্যার আমি তো পড়তে পারি না! ছোট বেলায় স্কুলে যায় নাই!
.
চশমা নেওয়ার পর আবিষ্কার করলাম, বউ এবং চশমার ফ্রেম দুটো যত হালকা হবে তত মঙ্গল!
.
এক ছেলে প্রায় সময় এক মেয়ের দিকে তাঁকিয়ে থাকতো, অনেক দিন পর ছেলেটিকে আশে পাশে না দেখে একদিন মেয়েটি কৌতূহলবশত প্রশ্ন করে বসলো, তুমি তো এখন আর আমাকে দেখতে আসো না, তখন ছেলে চশমা হাতে নিয়ে বললো, আমি এখন তোমাকে দূর থেকে দেখি!
.
চশমা খসে গেলে মুশকিলে পরি, দাদা এখনো যে আমি ইস্কুলে পড়ি গানটার সুরে বলতে চাই, ডাক্তার চশমা দিয়ে পড়তে পারবে বলার পর চান্দু স্কুলে যায় না কারণ চশমা থাকলে পড়ার জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়ার কি দরকার!
.
মনে পরে গেলো, স্কুল শিক্ষক কিংবা ছোট বেলার শিক্ষকরা ছিলেন চশমার মতো, কান টেনে দিলেও জীবন দেখতে সহায়তা করতেন!

সময় জার্নাল/এসএ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল