অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
রামগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় সাজ্জাদুর রহমান সজিব নামে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে চাঁদপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সজিব।
নিহত সজিব রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সিলমারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা সজিবের মাথায় চাপাতি ও লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে এলাকাবাসী আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হান মাহমুদ রুপক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সজিবেরে মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ কামরুজ্জামান জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে, একই উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় পৃথক স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ৪০ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এসয় এলজি, পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে একটি বিশেষ দল ও প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্য ভোট প্রদানের অভিযোগ ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ী ভাঙচুর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে একাধিক কেন্দ্রে। এসব কেন্দ্রের বাইরে কিছুক্ষন পর পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় কোন ভোট কেন্দ্র দখলের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনায় অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার হাতপাখা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী মো. জহির উদ্দিন দুপুর ২টার দিকে ভোট বর্জন করেন।
সময় জার্নাল/এলআর