আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ভ্রমণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করেছে ভারত। ভারতের মহারাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর নতুন ভ্রমণ নির্দেশিকা ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা প্রকাশ করলো নয়াদিল্লি।
পূর্ণডোজ টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য যে ছাড় দেওয়া হচ্ছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে। গত রবিবার (২৮ নভেম্বর) নতুন এসব নির্দেশনা জারি করেছে ভারত সরকার। ভ্রমণ নির্দেশিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেলেই আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত দিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের আরটি-পিসিআর টেস্টে নেগেটিভ হলে কোয়ারেন্টিনে এবং পজিটিভ হলে কঠোর আইসোলেশনে থাকতে হবে। যদি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে, তাহলে সেই যাত্রীকে ৭ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিন অনুসরণ করতে হবে এবং ভারতে পৌঁছানোর অষ্টম দিনে আবারও পরীক্ষা করাতে হবে।
ওমিক্রন ধরা পড়া দেশগুলোর পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারত। ভারত সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় রয়েছে, যুক্তরাজ্য, গোটা ইউরোপ এবং আরও ১১টি দেশ বা অঞ্চল; সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, হংকং, ইসরায়েল ও বতসোয়ানায় ওমক্রিন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের খবরে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ।
এমআই