নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আন্দোলন কর্মসূচির মুখে পলাতক রয়েছেন রাজশাহীর বহুল আলোচিত কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী।
আর তাকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন কাটাখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: খোকনুজ্জামান মাসুদ। রোববার রাতে সাবেক কাউন্সিলর খোকনুজ্জামান মাসুদ পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করে চরম অন্যায় করেছেন। এছাড়া তিনি সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনকে কটাক্ষ করেছেন। এরপর থেকে কাপুরুষের মতো তিনি গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। তাই তাকে ধরার জন্য আমি এক লাখ টাকা পুরস্কা ঘোষণা করেছি।
তিনি আরো বলেন, মেয়র আব্বাস এবারের মতো যদি পার পেয়ে যান তাহলে অনেকের ক্ষতি করতে পারেন। তাই আমি চাই কারো ক্ষতি হওয়ার আগেই তিনি যেনো শাস্তির আওতায় আসেন। সে কারণেই তাকে ধরার জন্য আমি নিজ তহবিল থেকে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছি।
সাবেক কাউন্সিলর খোকনুজ্জামান মাসুদ একজন ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত কাটাখালী পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর হওয়ায় স্থানীয় যুবলীগের সভাপতির পদ ছেড়ে দেন মাসুদ। পরে ২০২০ সালে তিনি কাটাখালী নির্বাচনে আব্বাসের প্রতিদ্বন্দ্ব হয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। কিন্তু ওই নির্বাচনে তিনি মাত্র ৩৬ ভোট পেয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তির অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফাঁসের পর মেয়র আব্বাস আলীকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। একইসাথে তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী একটি ঘরোয়া বৈঠকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালী পৌরসভার অংশের উন্নয়নকাজ নিয়ে কথা বলার সময় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তিনি ফেঁসে যান। ২২ নভেম্বর রাত থেকে মেয়র আব্বাসের এমন দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে। যদিও মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সময় জার্নাল/এলআর