নিজস্ব প্রতিবেদক। বাসচাপায় সহপাঠীদের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিনে সকাল ১০টার দিকে রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ ছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক, শাপলা চত্বর এলাকা, মোহাম্মদপুর এলাকা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নীলক্ষেত এলাকায়ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। যের কারণে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। অনেক শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে যানবাহনের ফিটনেস সনদ ও চালকদের লাইসেন্স যাচাই করতেও দেখা গেছে। তবে সড়কে জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়িগুলো ছেড়ে দিচ্ছে তারা।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে বনানীতে বিআরটি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘিরেও তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর গুলিস্তানের হল মার্কেটের সামনে সড়ক পারাপারের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি ধক্কায় ঢাকা নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হয়। এর ঠিক পরের দিন রাজধানীর পান্থপথে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় সংবাদমাধ্যমের কর্মী আহসান কবির খাঁনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় রামপুরা বাজারের সামনে প্রাণ হারান মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নামে আরও এক শিক্ষার্থী।
মূলত নাঈম হাসানের মৃত্যুর পরেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু মাইনুদ্দিনের মৃত্যুতে আন্দোলন আরো বেগবান হয়।
সময় জার্নাল/আরইউ