নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ- এমন অভিপ্রায় সামনে রেখে আজ শনিবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে। দুই দিনের শান্তি সম্মেলন বেলা আড়াইটায় উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।। বাংলাদেশ যে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে, এই সম্মেলনে সেই বার্তা সবার কাছে পৌঁছাতে চায় ঢাকা।
বিদেশী অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘শান্তি ও সম্প্রীতির দেশে স্বাগতম’। ‘অ্যাডভান্সিং পিস থ্রু সোশ্যাল ইনক্লুশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন তিনি। পরদিন রোববার সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবারের সম্মেলন সশরীরে ও ভার্চুয়াল- দুই মাধ্যমের অধিবেশনই থাকছে। সম্মেলনে ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ গৃহীত হবে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নামে সম্মাননা দেয়া হবে। বৈশ্বিকভাবে যেসব মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছেন, বিশেষ করে কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিক, বিজ্ঞানীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্মেলনে সম্মানিত করা হবে।
ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ‘সিনেমা ফর পিস’নামের দুই দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবের। জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শনি ও রোববার এই উৎসবে চারটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। সেগুলো হলো- ব্যালাড অফ আ সোলজার, দ্য ক্রেনস আর ফ্লাইং, ওয়ার অ্যান্ড পিস ও অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী। এ জন্য কোনো টিকিট লাগবে না।
বিশ্ব শান্তি নিয়ে কাজ করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কবি, সাহিত্যিক, নোবেল বিজয়ী, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকারকর্মী, চলচ্চিত্রকার, থিংক ট্যাংক ও সাবেক রাজনীতিকরা সম্মেলনে অংশ নেবেন। ধর্মীয় ইস্যুতে ভ্যাটিকান সিটি থেকে প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল থেকেও কিছু ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আমন্ত্রিত শতাধিক অতিথির জন্য চারটি প্যানেল ডিসকাশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম্মেলনের শুরুর দিন দুটি এবং সমাপনী দিনে দুটি প্যানেল ডিসকাশন হবে। এসব প্যানেল ডিসকাশনে যোগ দিয়ে অতিথিরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
সময় জার্নাল/এলআর