সর্বশেষ সংবাদ
নকশা, রং আর উৎসবের ধারণা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে এসব
পাঞ্জাবি। ঈদবাজারে এবার কেনাবেচা ভালো। তাই অন্য পোশাকের মতো নতুন
পাঞ্জাবির বড়সড় সংগ্রহই প্রতিটি দোকানে। লুবনানের পরিচালক ও প্রধান
ডিজাইনার নাইমুল হক খান জানালেন, এবার শতাধিক নতুন নকশার পাঞ্জাবি বাজারে
এনেছেন তাঁরা। সাড়াও পাচ্ছেন ভালো। এর মধ্যে বাবা আর ছেলের যুগল পাঞ্জাবি
ছাড়াও তরুণ ও শিশুদের একক সংগ্রহ আছে। আগের কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে
লুবনান এবার বড়দের মতো পাঞ্জাবি এনেছে ছোটদের জন্যও। পাঞ্জাবির সঙ্গে কোটির
চল এবারও দেখা যাবে।
কোটি এই ঈদেও থাকছে। পোশাক: লুবনানগত
বছর থেকেই একটি নতুন ধারা দেখা যাচ্ছে ঈদ পাঞ্জাবিতে। পাঞ্জাবির পাশে
যুক্ত হয়েছে কাবলি। এই কাবলির বাজার বেড়েছে এবার। তরুণদের লক্ষ্য করে যেসব
ফ্যাশন হাউস পোশাক বানায়, তাদের প্রায় সব দোকানে আছে কাবলি সেট। সাধারণ
পাঞ্জাবির সঙ্গে পার্থক্যটা হলো, এতে শার্টের মতো কলার থাকে, আর নিচের দিকে
গোল করে কাটা। এ ছাড়া কাঁধের দুপাশে থাকে বেল্ট, বুকের সামনে দুই পকেট।
পায়জামা থাকে চওড়া ও ঢিলেঢালা। হঠাৎ কাবলির প্রচলনকে দেশি ও বলিউডের
চলচ্চিত্রের প্রভাব বলে জানালেন ফ্যাশন হাউস ওটুর স্বত্বাধিকারী জাফর
ইকবাল। সালমান খান, শাহরুখ খান, জিৎ বা শাকিব খান অনেক সিনেমায় কাবলি
পরছেন। আর তরুণেরা যেহেতু ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ থাকতে চান, তাই কাবলি বেছে
নিচ্ছেন ঈদের পোশাক হিসেবে। বড়দের মতো ছোটদের জন্যও কাবলি কিনছেন অনেকে।
কোটি এই ঈদেও থাকছে। পোশাক: লুবনানগরমে
যে সুতি কাপড় আরাম দেবে, তা নতুন করে বলার কিছু নয়। তবে সুতি কাপড়ের ধরনও
বদলে গেছে। ‘আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে কুঁচকানো সুতিকে আরও উজ্জ্বল ও
চকচকে (শাইনিং) রূপ দেওয়া হয়েছে। যন্ত্রের মধ্যে পড়ে সুতি আরও নরম আর
আধুনিক হয়েছে।’ বলছিলেন ক্যাটস আইয়ের ডিজাইনার সাদিক কুদ্দুস।
পাঞ্জাবিতেও দেখা যাবে ফুলেল নকশা। পোশাক: নওয়াবাবা-ছেলের
পাঞ্জাবিতে নতুনত্ব আছে নকশায়। এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ, কারচুপি, সুতার
কাজ, ফুলেল নকশা, পশুপাখির নকশা, কাঁথা ফোঁড়, মখমলের ব্যবহার, ছাপা নকশা
ইত্যাদি বেশি দেখা যাচ্ছে। বাজারে আছে শেরওয়ানি কাটের পাঞ্জাবিও। সামনের
দিকে কাটা আর ওপরের অংশে বোতাম দিয়ে বানানো হয়েছে এমন পাঞ্জাবি। যুগল
পোশাকে শুধু বড়দের মতো করে শিশুদের পোশাক হচ্ছে না, উল্টোটাও আছে। শিশুদের
উপযোগী নকশায় বড়দের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তাতে গাড়ির ছবি, আনারস, ফুটবল, ঘোড়া,
ডাইনোসর ইত্যাদি ছাপা নকশা ব্যবহার করা হচ্ছে। বড়রাও সেসব কিনছেন। রং
হিসেবে বেশি চলছে সাদা, কালো, নীল, বেগুনি, সোনালি, হালকা গোলাপি, সবুজাভ,
লালচে, হলুদ ইত্যাদি। গাঢ় নয়, বরং এসব রঙের হালকা শেড বেছে নেওয়া হচ্ছে।
সাদা রঙের পাঞ্জাবি পছন্দ বাবা ও ছেলের। পোশাক: লুবনান, স্থান: অজ রেস্তোরাঁঅভিনেতা
অপূর্ব জানালেন, প্রতি ঈদেই ছেলে আয়াশের সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবি পরার
চেষ্টা করেন। ছেলের জন্মের পর গত চার বছরের অধিকাংশ ঈদেই ছেলের সঙ্গে
মিলিয়ে পাঞ্জাবি কিনেছেন তিনি। পাঞ্জাবিতে তাঁর পছন্দের রং সাদা। তবে এর
বাইরেও নানা রঙের পাঞ্জাবি পরেন। সব সময় সুতি না পরে অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে
সিল্ক বা অন্য কাপড়ও পরেন। অপূর্ব বললেন, ‘আয়াশের বয়স চার বছর। তবে এরই
মধ্যে তার নিজস্ব পছন্দ তৈরি হয়ে গেছে। তার পছন্দমতো পাঞ্জাবি পেলে এবারও
একই রঙে সাজব বাবা-ছেলে।’
কাবলি ও পাঞ্জাবি দুটোই থাকছে ঈদ ফ্যাশনে। পোশাক: নওয়াঈদ
মানে তো খুশির দিন। তাই সুন্দর করে সেজেগুজে সারা দিন আনন্দে কাটানোই আসল
ব্যাপার। সেই আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেবে বাবা আর ছেলের পাঞ্জাবির এই মিল।
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল