নিজস্ব প্রতিনিধি: পেঁয়াজ কাটলে সবার চোখই কম-বেশি পানি আসে। এখন পেঁয়াজ কিনতে গিয়েও চোখে পানি চলে আসছে। রাজধানীতে হঠাৎই বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। এই দু’টি পণ্য গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
গত সপ্তাহে আমদানি করা বিদেশী পেঁয়াজ ৫০ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। একইভাবে গত সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা বলছে, বাজারে দেশী পেয়াজ ও রসুনের সরবরাহ কমে যাওয়ায় আমদানি পণ্যের উপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
ভারতের বেশ কয়েকটি প্রদেশে বৃষ্টিপাতের কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা অনেকটা বেশি দামেই ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করছেন। এতে বাংলাদেশেও পেঁয়াজের দামের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
এছাড়াও বাংলাদেশের ফরিদপুর এলাকায় সম্প্রীতি বৃষ্টির কারণে দেশি পেঁয়াজচাষিরা মাঠ থেকে দেরিতে ফসল তুলছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি এই দুই কারণেই বাজারে পেঁয়াজের মৌসুমেও দাম বাড়েই চলেছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতের ইন্দর, গুজরাট, মহারাষ্ট্র থেকে প্রতিনিয়তই পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কয়েকদিন আগে ওই এলাকাগুলোতে অতিবৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ তুলছেন না। এ কারণে বাড়তি দামে সেখান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ওই এলাকায় পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে বন্দরে কিছুটা আমদানি কমে গেছে, ফলে বাজারে খুচরা দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর