বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

আরও ৬০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে

শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
আরও ৬০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে


টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : শনিবার সকাল ১০টার পর চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌ-বাহিনীর দুটি জাহাজ। সেখানে ৬০০ রোহিঙ্গা রয়েছে। 

এর আগে শুক্রবার বিকেলে তাদের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে বাসে করে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ হয়ে নেওয়া হয় চট্টগ্রামে। শনিবার দুপুরে ওই দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি (সিআইসি) নওশের ইবনে হালিম বলেন, 'এবারে ৬০০ রোহিঙ্গা চট্রগ্রাম থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে নৌবাহিনী দুটি জাহাজে করে রওনা দিয়েছে। তাদের সবার দুপুরে দ্বীপে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম শেষে তাদের নিজ নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়া হবে।'  

এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সাত দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন বলেন, 'অষ্টম দফায় ৬০০ জন রোহিঙ্গা নৌবাহিনীর জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তারা আজ দুপুরে সেখানে পৌঁছাবেন।'

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময় পালিয়ে এসেছিলেন। কক্সবাজারে শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সময় জার্নাল/এসএ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল