সময় জার্নাল প্রতিবেদক : ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হাসেন মঈনুল আহসান জানিয়েছেন, রোববার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে করোনার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ট্রায়াল হিসেবে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে এবং পরে বয়স্কদের দেওয়া হবে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. আবু হাসেন মঈনুল আহসান বলেন, যেকোনো টিকার ক্ষেত্রেই শুরুতে সতর্কতামূলকভাবে কিছু জনগোষ্ঠীকে দিয়ে শুরু করি। কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর বড় আকারে শুরু করি। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও এমনটাই হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যারা সক্ষম, তাদের দিয়ে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করব। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা অবশ্যই বয়স্কদের আনব। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে কোমরবিড কন্ডিশন আমরা বিবেচনায় রাখব।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে খুব সীমিত আকারে এটা শুরু করা হবে। তবে পরে ব্যাপক আকারে শুরু হয়ে যাবে। আশা করি টিকার যে সরবরাহ রয়েছে, এতে কোনো ঘাটতি হবে না।
সিভিল সার্জন বলেন, বুস্টার ডোজের ঘোষণা তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। একটি হলো সক্ষমতা এবং আমাদের টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ। আমরা প্রথমে একটি ডোজ দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, এরপর আমরা সরবরাহ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কাজ করেছি। এখন আমাদের সরবরাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে বলে তাই সরকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা বয়স্ক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারীর যোদ্ধা আছেন, তাদেরকে মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাল থেকে দেওয়া শুরু করব।
এর আগে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ট্রায়ালে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম আগামী রোববার থেকে শুরু হবে। প্রথমে সম্মুখসারির ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের এই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সময় জার্নাল/এসএ