নিজস্ব প্রতিবেদক। বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে অনুমতি ছাড়া ওষুধ সেবনের পরামর্শ (প্রেসক্রিপশন) দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় অংশ নেন। আর মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষ থেকে সভায় যুক্ত হন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুসারে স্বীকৃতি ছাড়া কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিব আরও বলেন, এখানে একটি বোর্ড থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) মতো এখানেও একটি কাউন্সিল থাকবে। এ কাউন্সিল একাডেমিক বিষয়গুলো দেখভাল করবে।
বাংলাদেশ চিকিৎসা অ্যাক্রেডিটেশন আইনের খসড়াও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া মালদ্বীপের কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সইয়ের জন্য চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন মালদ্বীপ সফরের সময় এ চুক্তি হবে বলে আশা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান, মালদ্বীপে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আছেন ৪৩ জন। আর ৪০ জন বিচারাধীন। তবে মালদ্বীপের কোনো নাগরিক বাংলাদেশে বন্দি নেই।
সময় জার্নাল/আরইউ