নিজস্ব প্রতিবেদক। কক্সবাজারে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই নারীর সঙ্গে ঘটনার কয়েক দিন আগে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামের দেখা হয় বলে জনায় র্যাব। আশিক ও তার সঙ্গীরা ওই নারীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এর জের ধরে ২২ ডিসেম্বর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আশিককে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দরকার আল মঈন।
‘সংঘবদ্ধ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গেল বৃহস্পতিবার রাতে এক নারীর স্বামী চার জনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার বাসিন্দা আশিককে বৃহস্পতিবার মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ব্রিফিংয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, আশিক দাবি করেছে ঘটনার দুইদিন আগে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। সেদিন সে ও তার চক্রের সদস্যরা ওই দম্পত্তির কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই চাঁদা আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে সে।
ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী গণমাধ্যম ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দাবি করেছিলেন, তারা গত বুধবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার গিয়েছিলেন।
ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারী জানিয়েছিলেন, স্বামী-সন্তান নিয়ে বুধবার সকালে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর শহরের হলিডে মোড়ের সি ল্যান্ড হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। বিকেলে সৈকতে গেলে সাড়ে ৫টার দিকে তার স্বামীর সঙ্গে এক যুবকের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আর তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ওই নারীর অভিযোগ, তাকে শহরের একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে প্রথমে তিনজন ধর্ষণ করেন। তারপর নেয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন একজন।
সময় জার্নাল/আরইউ