সময় জার্নাল ডেস্ক। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার চিকিৎসার জন্য ইসি থেকে বছরে ৩০-৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। এই বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থানের কারণে সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে এমন নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন। সিইসি নিজেও ইসি থেকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মাহবুব তালুকদার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অসুখের যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া আমার মৌলিক অধিকার। গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নির্বাচন ভবনে এক প্রেস কনফারেন্স করে আমার চিকিৎসার ব্যয় বছরে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি অবশ্য খরচের প্রকৃত হিসাব প্রদান করেননি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেছেন, তিনি আমাকে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি বলে উল্লেখ করে বলেছেন, আমি কখনো আইসিইউতে বা কখনো সিসিইউতে থাকি। কিন্তু ইচ্ছা করলেই কেউ আইসিইউ বা সিসিইউতে থাকতে পারে না। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে বিশদভাবে অবহিত করা প্রয়োজন মনে করি।
নির্বাচন কমিশনার হওয়ার সময় থেকেই মাহবুব তালুকদার প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ক্যান্সার কালক্রমে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। আমি সিঙ্গাপুর ও ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের চারজন চিকিৎসকের সমন্বয় গঠিত মেডিকেল বোর্ড দুই দফা শারীরিক পরীক্ষা করে আমাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী আমার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/আরইউ