অনুপম মল্লিক আদিত্য, জবি প্রতিনিধি:
প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নেই কোনো কেন্দ্রীয় গবেষণাকেন্দ্র। এ সংকট দূর করতে একটি কেন্দ্রীয় গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, গবেষণার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় পরিচয় হয়। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান যত ভালো, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম তত বেশি এবং সামনের দিকে এগিয়ে যায়। গবেষণার মান বৃদ্ধির জন্য সুযোগ-সুবিধা থাকতে হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফ্যাসিলিটি ডেভেলপ করা প্রয়োজন বলে মত তাদের।
গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণাকেন্দ্র আছে কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। আমরা ইউজিসিতে একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছি, ইউজিসি অনুমোদন করেছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে, ওখানেও অনুমোদন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৫০ কোটি টাকার একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ৫০ কোটির উপরে হলে সেটা আবার একনেকে অনুমোদন করতে হবে। ওটা ২-৩ বছর লেগে যাবে। আমাদের তো একটা কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগার দরকার। সেজন্য আমরা ৫০ কোটি টাকার মধ্যেই প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। তবুও বছরখানেক সময় লাগবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ‘গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটার অনেক সাব সেল আছে, একটা কেন্দ্রীয় সেল আছে। তারা কাজ করছে। বিভিন্ন কাজ করার জন্য কিছু সাব কমিটি আছে। একেকটা সাব কমিটিকে একেকটা কাজ অ্যাসাইন করা আছে। আশা করছি, খুব দ্রুত যেন ভালো অবস্থা তৈরি হয়। ইউজিসির যে অংশটা, সেটা আমরা করে দিয়েছি। সাব কমিটিগুলো কাজ করছে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেন্ট্রাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি তৈরির চিন্তাভাবনা যোগদানের শুরু থেকেই। তিনি বলেন, ‘গবেষণাকেন্দ্র করার জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছে। এটার প্রজেক্ট আমরা ইউজিসিতে জমাও দিয়েছি।’
উক্ত প্রকল্প কমিটিতে লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সাবেক ডিন, ফার্মেসি, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, পরিকল্পনা দপ্তরের উপ-পরিচালক, বর্তমান ও সাবেক গবেষণা পরিচালক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে প্রকাশিত এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে ২০২২-এ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৬৩ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন।
সময় জার্নাল/এলআর