রেজাউল করিম রেজা,কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ফরিদুল ইসলাম (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
রোববার ভোরে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পুর্ব কাউয়ারচর সীমান্তের আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার ১০৫৭-৩এস-টির কাছে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের লাশ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে গেছে। ফরিদুলের লাশ বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফের কাছ থেকে ফেরত আনার দাবি পরিবারের।
নিহত ফরিদুল ইসলাম উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে ফরিদুল ইসলামসহ ২৫-৩০জনের একটি চোরাকারবারি দল গরু পাচারের জন্য পুর্বকাউয়ারচর সীমান্তের সীমানা পিলার ১০৫৭-৩এস-টির কাছে যান। এসময় ভারতের ৪৫ ব্যাটালিয়নের কুকুরমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফরিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ফরিদুলের লাশ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে যায়।
নিহতের দুলাভাই শহিদ মওলা জানান, বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছি। দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোববার ভোরে কয়েকজনসহ ফরিদুল ইসলাম সীমান্তে গরু পারাপারের জন্য যান। এসময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করেন। পরে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ফরিদুলের লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদারকে জানানো হয়েছে।
জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আলি আনছার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে বিএসএফের সাথে কথা চলছে। তবে কখন লাশ হস্তান্তর করবেন, তা এখন পর্যন্ত জানায়নি বিএসএফ।
এমআই