শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাট নার্সিং কলেজ ক্যাস্পাসের নার্সিং হল রুমে আল আমিন সরকার আবির (২০) নামে এক শিক্ষার্থী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নার্সিং কলেজ ক্যাম্পাসের ৮০০ বর্গফুট নামক একটি আবাসিক ভবনের নিজ কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
আল আমিন সরকার আবির টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার শহর গোপিনপুর (আষারিয়া চালা) গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলামের ছেলে।
সে লালমনিরহাট নার্সিং কলেজের বিএসসি ইন নার্সিং ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে রুমমেট রনির সাথে থাকতেন।
আল আমিন সরকার আবিরের রুম মেট রনি আহমেদ জানায়, দুপুরের খবারের সময় হলে আমরা আমাদের হলের সব শিক্ষার্থী খেতে যাই। তখনো সে রুমের মধ্যেই ছিল। খাবার শেষে হলে ফিরলে তার কক্ষটি ভিতর থেকে আটকানো ছিল। পরে অনেক ডাকাডাকি করা হলেও তার কোন সারা শব্দ না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে কল দেই। বাহির তার মোবাইল ফোন রিং টোন শোনা গেলেও ফোন রিসিভ করছিল না। পরে বিষয়টি তাদের অধ্যক্ষ ছাহেবা বোগমকে অবগত করি।
পরবর্তীতে অধ্যক্ষ আরও কয়েকজন শিক্ষক ও ওই হলের সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলে রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে আল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
পরে থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মরগে প্রেরন করে।
এ ব্যাপারে নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ছাহেবা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কোন কিছু না বলেই তার রুম ত্যাগ করে চলে যান।
তবে রুমমেট রনি বলেন, কয়েকদিন থেকে তার রুমমেট আল আমিন প্রায় প্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে থাকতো। তাদের সাথেই পড়ে শারমিন আরা ইসলাম নামের একটি মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হয়তো তাদের মধ্যে কোন মনমালিন্যের কারনেই সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবে সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো।
লালমনিরহাট সদর থানার (ওসি) শাহ আলম জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তারপরেও আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা।
সময় জার্নাল/ইএইচ