বাগেরহাট প্রতিনিধি :
সারাদেশের মত বাগেরহাটেও মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জেলার মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন। এসময়, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ শওকত হোসেন, বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাগেরহাটের প্রোগ্রাম অফিসার মোসাঃ সুমিতাই ইয়াসমিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ফুল দিয়ে মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানান।
সম্মাননা প্রাপ্ত মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার খুরশিদা ইয়াসমিন, নুরজাহান বেগম, লায়লা হাসান, মাসুদা রেহানা বেগম, মীরা বেগম, নিলুফা ইয়াসমিন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার মোসাঃ হাসিনা কবির, মমতাজ বেগম, মোসাঃ উম্মে কুলসুম মল্লিক, শরণখোলা উপজেলার আয়েশা বেগম, ফকিরহাট উপজেলার আনোয়ারা খাতুন, আখতার বানু, মোল্লাহাট উপজেলার হাসিনা খাতুন, মেরী বেগম, প্রমিতা রায়, রমনী রায়, ভারতী অধিকারী, রামপাল উপজেলার মোসাঃ ফরিদা বেগম, মোংলা উপজেলার তরুলতা রায়, রেনুকা রায়।
শেষ বয়সে এসে এমন রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় খুশি নারী মুক্তিযোদ্ধারা। বাগেরহাট সদর উপজেলার মীরা বেগম বলেন, ১৯৭১ সালে কোনকিছু পাওয়ার আসায় আমরা যুদ্ধ করিনি। শুধুমাত্র দেশের জন্য ভালবাসা থেকেই আমরা যুদ্ধ করেছি। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে যার ফলে মুক্তিযোদ্ধারা আজ ভাল আছেন। আজকে যে সম্মান আমাদের দেওয়া হল, এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকব।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাগেরহাটের প্রোগ্রাম অফিসার মোসাঃ সুমিতাই ইয়াসমিন বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশের মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমরা জেলার ২০ মহিলা মুক্তিযোদ্ধাকে এই সম্মাননা প্রদান করেছি। সম্মননা প্রাপ্ত প্রত্যেক মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি সম্মাননা স্মারক, একটি শাড়ি, একটি গায়ের চাঁদ ও একটি মাস্ক প্রদান করা হয়েছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।