স্পোর্টস প্রতিবেদক:
রাত পোহালেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে আফগানিস্তানের স্পিন বিভাগ নিয়ে। রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, মোহাম্মদ নবির সমন্বে গড়া আফগানদের স্পিন আক্রমণ সম্ভবত বর্তমান বিশ্বেরই অন্যতম সেরা। তবে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রতিপক্ষের স্পিন ডিপার্টমেন্ট নিয়ে অতো ভাবতে চান না। কারণ আফগানদের এই বোলারদের বিপক্ষে অতীতেও খেলেছে বাংলাদেশ এবং সফলও হয়েছে।
রশিদ খানকে অনেক বছর ধরেই বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার ভাবা হচ্ছে। আগের মতো ধার না থাকলেও মুজিব-উর রহমান কতোটা দুর্ভেদ্য হতে পারেন সেটা দেখা গেছে সদ্য শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু অষ্টম বিপিএলই। মোহাম্মদ নবি অনেক বছর যাবত পারফর্ম করে চলেছেন। ওয়ানডে সিরিজে নিঃস্বন্দেহে এই শক্তি কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চাইবেন সফরকারীরা। বিষয়টি তামিমও নিশ্চয় ভালোভাবেই জানেন।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলছিলেন, ‘দেখেন আমি এক-দুজন বোলারকে নিয়ে আসলে কখনো বেশি কথা বলতে চাই না। আমি যেটা বললাম যে তাদের ভালো বোলিং আক্রমন আছে। সম্ভবত অন্যতম সেরা স্পিন অ্যাটাক তাদের। তবে আমরা এদের বিপক্ষেই অতীতে খেলেছি এবং ভালো করেছি। বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে। তাহলে আবারও কেন পারবো না।’
প্রতিপক্ষের শক্তি দুর্বলতা বিবেচনা করে প্ল্যান করছে বাংলাদেশ। তবে শুধু বলেই তো কাজ শেষ নয়, মাঠে সেটা করেও দেখাতে হবে। সেটাই বলছিলেন তামিম, ‘ঐ তিন স্পিনার নিয়েই শুধু আমরা শুধু ভাবছি তা না। ওদের ১0 উইকেট তুলতে হবে, তাই ওদের ব্যাটারদের নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়। ৫০ ওভারে ওদের ৫-৬ বোলার বল করবে। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা জানি আমাদের ‘ডেঞ্জার জোন’ কী কী হতে পারে, কোন কোন জায়গায় কীভাবে পরিকল্পনা করব। এটা নিয়ে গত ১-২ দিন ধরেই কথা বলছি। তবে এখানে বসে আমি যত কিছুই বলে দেই না কেন, মাঠে এটা করতে না পারলে কোনো লাভ হবে না।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার তিনটি ম্যাচ ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ। তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। যথাক্রমে ২৩, ২৫ ও ২৮ তারিখে প্রতিটি খেলাই শুরু হবে বেলা ১১টায়।
এমআই