শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: সহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে লালমনিরহাটের কাকিনা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ম্যানেজার পারভেজ হোসাইনকে(২৮) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নির্যাতিত মেয়ে সহকর্মী বাদি হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সোমবার(২৭ ফেব্রুয়ারী) আদিতমারী উপজেলার টেপা পলাশী এলাকা থেকে পারভেজ হোসাইনকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
আটক পারভেজ হোসাইন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোরাগাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের ছপিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের ম্যানেজার পদে কর্মরত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কাকিনা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে ম্যানেজার পদে কর্মরত থাকার সুবাদে একই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকের সহকারী এক মেয়ের(২৬) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন পারভেজ হোসাইন। সেই সুবাদে বিয়ের প্রলোভনে দু'জনে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাওয়ার অজুহাতে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ ৪ বছর অতিবাহিত হলেও বিয়ের কোন ব্যবস্থা না করে দৈহিক সম্পর্ক অব্যহত রাখেন প্রেমিক পারভেজ হোসাইন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে কাল বিলম্ব করে কাটিয়ে দেন।
সোমবার(২৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে তার বাড়ি টেপা পলাশী গ্রামে যান পারভেজ হোসাইন। দ্রুত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটির ইচ্ছা বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির আত্নচিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা এসে ধর্ষক পারভেজ হোসাইনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নির্যাতিত মেয়ে বাদি হয়ে ধর্ষক পারভেজ হোসাইনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে আটক পারভেজ হোসাইনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখায়।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত মেয়ের অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে আটক পারভেজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। নির্যাতিত মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমআই