দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আপন বড় ভাইয়ের হাতে ছোট বোন খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলাবার উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট দিঘলীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, উপজেলার ছোট দিঘলীয়া গ্রামের জাকির হোসেন(৫৫) ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম (৪৫) দম্পতির ২৫বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দু’জনের মাঝে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এরই মাঝে এই দম্পতির নাসিরউদ্দিন (২০), সিফাতুল্লাহ (১৮), শফিউল্লাহ (১০) ও হালিমা খাতুন (১২) নামে ৪টি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এদের মধ্যে নাসিরউদ্দিন বরিশালের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। অপরদিকে ছোট ভাই শফিউল্লাহ প্রতিবন্ধী।
ঘটনার দিন দুপুর ১২টায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর উপর অভিমান করে নুরুন্নাহার বেগম বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। অপরদিকে জাকির হোসেনও বাড়ি থেকে কাজে চলে যায়। এ সময় পারিবারিক কলহ নিয়ে ভাই সিফাতুল্লাহ ও বোন হালিমা খাতুনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সিফাতুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিমা খাতুনের গলা কেটে হত্যা করে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, জাকির হোসেন একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক। যার জন্য প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার সময় সিফাতুল্লাহ বাবা ও হালিমা খাতুন মায়ের পক্ষ নিতো। সে কারণে সিফাতুল্লাহ তার বোনকে হত্যা করতে পারে।
হালিমা খাতুনের মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, আমি যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই তখন সিফাতুল্লাহ, হালিমা ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলে শফিউল্লাহ বাড়িতে ছিল। সে সময় পারিবারিক কলহ নিয়ে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। আমার ধারণা সিফাতুল্লাহই হালিমাকে হত্যা করেছে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা জায়নি। আমরা সিফাতউল্লাকে আটকের চেষ্টা করছি। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে খুঁজে পেলেই হালিমা হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আমরা হালিমা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
এমআই