ইসাহাক আলী, নাটোর: খোদ নারী দিবসেই নাটোরের গুরুদাসপুরে খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজে এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ওই কলেজের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী জাকির হোসেন ১ম বর্ষের এক ছাত্রীকে অনৈতক প্রস্তাব দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। তারা কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সাড়ে তিন ঘন্টা অধ্যক্ষসহ
অভিযুক্তকে আটক অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ জাকির হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মঙ্গলবার সকালে গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজে ওই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে জাকির হোসেনকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ঘটনার পর সময় গড়ার সাথে সাথে কলেজ ও আশেপাশের পরিস্থিতি উত্তক্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় কলেজে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠ্য বিচারের আশ্বাস দিলে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে আটক করে গুরুদাসপুর থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে কলেজের কর্মচারী মোঃ জাকির হোসেন ওই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় এবং উত্ত্যক্ত করে। জাকির হোসেন খুবজীপুর গ্রামের শিক্ষক দিদার হোসেনের ছেলে। এর আগেও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে কু-প্রস্তাব দেয় জাকির হোসেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজ থেকে চাকরিচ্যুত না করা হলে তারা পুনরায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, এটা ইভটিজিং এর ঘটনা। সমাধানের কথা বলা হয়েছিলো শিক্ষার্থীদের। তারপরও শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ চলমান রেখেছিলো। পরে ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন, এসিল্যান্ড আবু রাসেল, অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিনসহ পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অত্র কলেজের সভাপতি মোঃ তমাল হোসেন জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে তিনি কলেজে গিয়েছিলেন। কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সুষ্ঠ তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআই