তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, তিতুমীর কলেজ একটি চমৎকার কলেজ। কলেজটিতে আমি একটি মুক্ত মঞ্চ করে দিবো শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য। কলেজেটি শিক্ষা, সাংস্কৃতিকভাবে বেশ এগিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ২৪মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তালাত সুলতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মহিউদ্দিন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান। আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন, রসায়ন বিভাগের প্রধান প্রফেসর আব্দুল মান্নান সহ তিতুমীর কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া পছন্দ করতেন। খেলাধুলা ভালোবাসতেন। তিতুমীর কলেজের এত সুন্দর আয়োজনে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। এবারই প্রথমবার কলেজটিতে এলাম আমি। কলেজটি এত সুন্দর আমার জানা ছিলো না।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কলেজটিতে খুব বেশি জায়গা নেই। কলেজের পাশের দুই একর জায়গা ব্যাবহারের জন্য দেয়ার কথা ছিলো। সে বিষয়ে আমি রাজউকের সাথে কথা বলব।
কে এম খালিদ বলেন, কলেজটি ছোট হলেও শিক্ষা সাংস্কৃতিক ভাবে অনেক এগিয়ে আছে কলেজটি। তিতুমীর কলেজ ১৭টি সংগঠন রয়েছে। তাদের একটি মঞ্চ দরকার, আপনারা একটি জায়গা ঠিক করে দিলে আমি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মুক্ত মঞ্চ করে দিবো।
এ সময় তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তালাত সুলতানা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ সময় কলেজ বন্ধ ছিলো। যার ফলে বড় কোনো অনুষ্ঠান কলেজে হয়নি। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে উৎসব ফিরে এসেছে।
তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিলো ক্লাস। শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবার মনে একটা খাপছাড়া ভাব ছিলো। আর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবার মনেই আনন্দের জোগাড় দিয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে এ আয়োজন।
এমআই