ডাঃ আহমেদ জোবায়ের :
আমার এক বন্ধু ব্যাংকে চাকুরী করেন।
বাসা থেকে ব্যাংকের দূরত্ব ৮ কি.মি.
একদিকে লকডাউনের জন্য গন পরিবহন বন্ধ, অন্যদিকে ব্যাংক খোলা।
এখন সে কিভাবে অফিসে যাতায়াত করবে??
পাখির মত উড়ে উড়ে।
লকডাউন মানুষকে পাখি বানিয়ে ছাড়বে।
আর হেঁটে যেতে হলে তো ফজর পরেই রওয়ানা দিতে হবে তাইনা।
এমন গঞ্জিকাখোর, নেশাগ্রস্থ লোকজন নীতিনির্ধারক হয় কি করে?
এদের কেন রিহ্যাবে পাঠানো হয়না।
বইমেলা চালু।
লকডাউন চলছে।
মানুষ কি Ambulance চড়ে বই মেলায় যাবে?
বই মেলায় কি এমন বই আছে যা না পড়তে পারলে বাঙ্গালী মূর্খ থেকে যাবে?
সীতানাথ বসাকের আদর্শ লিপিটা কি পাওয়া যায় বইমেলায়??
এই বইটা পড়ানো হয়না দেখেই দেশে এত চোর।
মাছ চাষ, পুকুর খনন,সাঁতার শেখা, ছাগল পালন, ছাগলের দুধ পানের উপর ট্রেনিং নিতে কত রামপাঠা বিদেশে ভ্রমণে গেলো।
কত অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে দেশে ছাগলের বাম্পার ফলন ঘটালো।
লকডাউনের মত জীবন রক্ষাকারী এমন একটা ব্যাপারে অভিজ্ঞতা অর্জনে তারা বিদেশ যাচ্ছেনা কেন?
লকডাউন কেমন, কিভাবে লকডাউন কার্যকর করা হয়, লকডাউনে কিভাবে রাস্তায়,, হাটে-বাজারে হাজার হাজার মানুষ ঘুরাফেরা করার পরেও করোনা ভাইরাস ছড়াবেনা, কিভাবে করোনা দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নেয়- এসব সরেজমিনে দেখার জন্য একদল পাঠাকে বিদেশে পাঠানোর তীব্র প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি এখনো??
শুধু মানুষের ফোনে আঁড়ি পাতা ও তা ফাঁস করার ট্রেনিং নিলে হবে??
লকডাউন কি তা দেখতে হবে না??