ডা. কামরুল হাসান সোহেল :
আপনারা করোনার টিকা নিবেন না, স্বাস্থ্য বিধি মানবেন না, সামাজিক দূরত্ব মানবেন না, উল্টো নানা ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন, আপনারা সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার, সাজেক, বান্দরবান, সুন্দরবন, ভোলাগঞ্জ, জাফলং, রাতারগুল ঘুরে বেড়াবেন, দেশের আনাচে কানাচে বিভিন্ন রিসোর্টে বেড়াতে যাবেন। নিজে করোনা আক্রান্ত হবেন আরো দশজনকে করোনা আক্রান্ত করবেন।
সরকার আপনাদের সুরক্ষার জন্য বিনামূল্যে করোনার টিকা দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন তা ও আপনারা টিকা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, নিজেকে সুরক্ষিত করছেন না,নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে রাখছেন অন্যদের জন্য ও ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন।যেখানে বিশ্বের ১৩০ টি দেশ এখনো এক ডোজ টিকা ও ব্যবস্থা করতে পারেনি।আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের দেশের জনগণকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করে ও কূটনৈতিক সাফল্য দেখিয়ে আমাদের সুরক্ষার জন্য করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে আসেন। গত ২৭ শে জানুয়ারি প্রথম করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে প্রথম দফার করোনার গণ টিকাদান কর্মসূচি চলছে কিন্তু আপনারা করোনার টিকা নিতে তেমন আগ্রহী নন। আপনাদের টিকা দান নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ইউনিয়ন, ইউনিয়নে গিয়ে টিকা দান করছে তা ও আপনারা টিকা নিচ্ছেন না।
আগামী ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফার করোনার গণ টিকাদান কর্মসূচি, পাশাপাশি প্রথম দফার করোনার টিকা এখনো যারা নেন নাই তাদের প্রথম দফার করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম ও চলমান থাকবে।করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে হলে আপনাকে দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। দুই ডোজ টিকা দেয়া হয় আট সপ্তাহের ব্যবধানে, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার দুই সপ্তাহ পর করোনার বিরুদ্ধে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে যা আপনাকে করোনার বিরুদ্ধে প্রায় ৯০% সুরক্ষা দিবে। আপনারা করোনার টিকা নিন, করোনার হাত থেকে সুরক্ষিত থাকুন।নিজে বাঁচুন,অন্যকে বাঁচতে দিন,দেশকে বাঁচান।