গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফের ডাকাত সন্ত্রাসী বাহিনী হুরাইয়া বাহিনীর প্রধান হুরাইয়াসহ তিনজনকে আটক করেছে। কক্সবাজারের টেকনাফে বিয়ে বাড়ি, সড়কে বেরিকেড দিয়ে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার পর তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিএসসি কমান্ডার এএসপি জামিলুল হক এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী গ্রামের মৌলভী মকসুদুর রহমানের ছেলে আবু হুরাইরা মোহাম্মদ (২৬), একই এলাকার মৃত, নুরুল কবিরের ছেলে মোরশেদ আলম (২১), ঝুপপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৮)।
তাদের স্বীকারোক্তি মতে, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ হাজমপাড়া এলাকার ঝাউবাগানের ভিতরে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি এসবিবিএল, ২ টি থ্রিকোয়ার্টারগান, ২ টি দেশীয় পিস্ত, এক রাউন্ড গুলি ও ডাকাতিকৃত ৮টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
এএসপি জামিলুল হক জানান, গত ৭ জুন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী এলাকার একটি বিয়ে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সদস্যরা কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও কয়েকটি স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও গত ১৮ জুন টেকনাফের হোয়াইক্যং-শাপলাপুর সড়কের শাপলাপুর ঢালার মুখে একদল সংঘবন্ধ ডাকাতচক্র রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে। উক্ত দুই ডাকাতির ঘটনা টেকনাফে ভীতির সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামী করে টেকনাফ থানায় মামলা হয়।
উক্ত ঘটনায় মোঃ সাকিল (২০), মোঃ আমানউল্লাহ (২৪), মোঃ আরাফাত (২৭), মোঃ সাকিব হাসান (২৪), মোঃ নুরুল আমীন (২৫), মোঃ আইয়েছ ওরফে আজিজ (২২) র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিল তারা। তাদের দেয়া তথ্যেও ভিত্তিতে ডাকাত চক্রের মূলহোতা আবু হুরাইরার কথা স্বীকার করে এবং আবু হুরাইরার ডানহাত হিসাবে মোরশেদ, নুরুল ইসলামের কথা স্বীকার।
ফলে র্যাব সদস্যরা আবু হুরাইরা সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা বৃদ্ধি করে। মুলত: গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর