ডা. তাসনিম জারা : আজকে জানতে পারলাম যে মার্চের শেষ সপ্তাহে বিদ্যমান ভ্যারিয়ান্টগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট (সূত্র: আইসিডিডিআরবি)।
এই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হলে অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকা খুব সীমিত সুরক্ষা দেয়। মৃদু ও মাঝারি ধরনের রোগের বিরুদ্ধে গড়ে মাত্র ১০ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। অন্যান্য গবেষণা থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে তীব্র অসুস্থতা ও মৃত্যু থেকে এর চেয়ে বেশি সুরক্ষা দিবে। (এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।)
টিকার সীমিত কার্যকারিতার পাশাপাশি দুশ্চিন্তার বিষয় হল এই ভ্যারিয়ান্ট অনেক দ্রুত ছড়ায়। এই অবস্থায় সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।
সুযোগ থাকলেও আমি যে কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতাম:
১। বই মেলায় যাওয়া।
২। ভিড়ের মধ্যে যাওয়া, মাস্ক পরা থাকলেও।
৩। অসাবধানতার সাথে মাস্ক ব্যবহার করা, যেমন থুতনিতে ঝোলানো বা পকেটে রাখা।
৪। আবদ্ধ জায়গায় যেখানে বাতাস চলাচল করতে পারে না সেখানে কারও সাথে দেখা করা বা সময় কাটানো।
৫। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাজারে যাওয়া।
৬। নিয়মিত হাত না ধোয়া।
লেখক : চিকিৎসক, এনএইচএস ইংল্যান্ড
সময় জার্নাল/এমআই