সর্বশেষ সংবাদ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার প্রামাণিকপাড়ায় ১২ ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়েছে ৫ ঘণ্টা
জেলা প্রতিনিধি:
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রাম
প্রামাণিকপাড়া। এখানে গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ৫
ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে।
গ্রামের অন্তত ২০ জন ও ইকরচালী পল্লী বিদ্যুৎ
উপকেন্দ্রের দুজন লাইনম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে
দুপুর ১২টা ৫ মিনিট পর্যন্ত এক ঘণ্টা ৩৫ মিনিট, বেলা ৩টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা
৬টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা, রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাসহ ১২ ঘণ্টায় ৫ ঘণ্টা ৫
মিনিট লোডশেডিং হয়েছে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মোটামুটি এভাবেই চলছে।
তারাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের
সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. সামসুজ্জামান আজ সোমবার মুঠোফোনে বলেন, ‘লোডশেডিং না
দিয়ে করব কী? মেইন গ্রিড থেকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিপরীতে ৫ দশমিক ৫ মেগাওয়াট
বিদ্যুৎ বরাদ্দ দিচ্ছে। এই বিদ্যুৎ দিয়ে ৬টি ফিডার ভাগ করা চালানো হচ্ছে। তাই সারা
দেশের মতো তারাগঞ্জেও লোডশেডিং চলছে।’
২০১৭ সালে রংপুরের তারাগঞ্জের প্রতিটি ঘরে
শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে সারা দেশের মতো ব্যাপক
লোডশেডিং চলছে তারাগঞ্জেও। প্রতিদিন এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সিডিউল থাকলেও সারা দিনে
গ্রাহকেরা ৯-১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাপদাহে নাকাল মানুষ
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর তারাগঞ্জ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে,
তারাগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতায় মোট গ্রাহক সংখ্যা ৭৯ হাজার ২৫০ জন। এতে বিদ্যুতের
চাহিদা রয়েছে ১৯ মেগাওয়াট। কিন্তু ৫ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রামাণিকপাড়া গ্রামের পাশে গড়ে উঠেছে
ওকড়াবাড়ির হাট। আজ সকালে হাটে কথা হয় মুদি দোকানি সাকাদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি
বলেন, ‘একে তো রাইত আটটার পর দোকান বন্ধ। তার ওপর সারাদিন কারেন্ট নাই। গরমতে
ব্যবসা করিবার পাওছি না। বিল তো হামরা ঠিকই দেই। কিন্তু কারেন্ট ঠিকমতো পাই না
কেনে? ব্যবসা না হইলে চলমো কেমন করি!’
গ্রামের কয়েকজন তরুণের সঙ্গে প্রামাণিকপাড়া মোড়ে গল্প করছিলেন ওই গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ কপিল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এলকার মানুষ হওচে ব্রয়লার মুরগির মতোন। কারেন্ট ছাড়া নড়াচড়া কইরার পায় না। ছাওয়া-পোয়াগুলা কারেন্ট ছাড়া লেখাপড়াও করে না। কারেন্ট গেইলে যে যন্ত্রণা হয় তাক তোমাক বুঝবার পাইম না।’
ওই গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা হাসু সরকার বলেন,
‘এই গ্রামে ১০-১২টি খামার গড়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এবার প্রত্যেক
মুরগির খামারিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। অনেক খামারি এখনও মুরগি উৎপাদন করার সহস
পাচ্ছেন না। অধিকাংশ খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এবার বিদ্যুতের যাওয়া–আসা খেলায় আমার লাখ টাকা লোকসান হয়েছে
খামারে।’
এসএম
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল