নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় যাতে বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট না পায়, সেজন্য উৎপাদন বাড়াতে সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এ মাটি উর্বর মাটি। আমরা আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। তারপরও এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। এখন ছাদবাগান করা যায়, সেটাও যেন অন্তত করা হয়।’
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪০তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইডিইবির প্রেসিডেন্ট এ কে এম হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন পণ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। সঞ্চয় করতে হবে। বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিটি জায়গায় বিদ্যুৎ দিতে পারছে না, পানিও কমিয়ে দিচ্ছে। শীতে তারা কী করবে, সেটা নিয়ে শঙ্কিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমন একটা পরিস্থিতিতে আমাদের মতো দেশকে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। মিতব্যয়ী হতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। নিজদের খাদ্য উৎপাদনে যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে পারি, সেই ভূমিকা রাখতে হবে। যেটা জরুরি প্রয়োজন, আমরা সেটা করবো। কম প্রয়োজনীয় কাজ আপাতত বন্ধ রাখবো। তাহলেই বিশ্ব মন্দা আমাদের কাবু করতে পারবে না।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘যে দেশটিকে সবসময় অবহেলা করা হতো। খরা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষুধার্ত দেশ হিসেবে মনে করতো সবাই। এক পদ্মা সেতুর কারণে সেই দেশ তথা বাঙালি জাতি বিশ্বের দরবারে মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদন কর্মকাণ্ড করে থাকেন। ইনক্রিমেন্টসহ আপনাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কমিটির সুপারিশ অনুসারে আপনাদের পেশাগত সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার। আশা করছি, খুব শিগগির সমাধান হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও খোঁজ নেবো। এসব বিষয়ে কেন দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিচ্ছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অনেক কাজই আমরা করতে পারিনি। আপনাদের সমস্যাগুলো অবশ্যই আমি দেখবো। আপনাদের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি আসার পর থেকেই আপনাদের জন্য যা যা দরকার, করার চেষ্টা করেছি।’
এমআই