স্পোর্টস ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা পর হবে ফের মুখোমুখি। শিরোপা লক্ষ্য নয়। এবারের লড়াইটা ভিন্ন, বলা যায় শুধুই নিয়ম রক্ষার জন্য। তাতে কী আসে যায়, হারকে তো হারই লেখা হয় পরিসংখ্যান কিংবা ইতিহাসের পাতায়।
অনুপ্রেরণা পেতে, শক্তি আর দূর্বলতা খুঁজে নিতে, দুটো দলের জন্যই শুভ অপরাহ্ন। নিজেদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে, অকুতোভয় দৃঢ়তার বন্ধনে বেঁধে রাখতে, শিরোপায় চুমু মাখতে এর থেকে ভালো প্রস্তুতি আর কিইবা হতে পারে?
দুটো আলাদা দল, দুটো আলাদা জাতি, দুটো ভিন্ন ধর্ম; তবে লক্ষ্যের মতো ফেলে আসা অতীতটাও এক ও অভিন্ন। অভিন্ন স্বপ্নে আসর শুরু করা দুটো দলই শিরোপার দৌঁড়ে পা রেখেই হোঁচট খায়। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পা ফসকায়। পাকিস্তান যদিও খানিকটা উত্তাপ ছড়ায়, শ্রীলঙ্কা যেন হুড়মুড়ি
পরের গল্পটা ফিরে আসার। গল্পটা এক রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের উপমার। ব্যর্থতার শোককে শক্তি করে, দাঁড়িয়ে উঠে ওরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে। ওদের আগুনে পুড়ে ভস্ম প্রতিপক্ষ, প্রতিশোধও নিয়েছে ওরা, মুছেছে হারের ক্ষত। শক্তির বিচারেও যেন সমানে সমান, তবে লঙ্কান ক্রিকেটের এ যেন এক অবিস্মরণীয় উত্থান। বিপরীতে সেই পুরনো রূপে পাকিস্তান, অনিশ্চয়তাই যাদের সমাধান।
এখন পর্যন্ত ২১ দেখায় ১৩ জয় পাকিস্তানের, বিপরীতে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৮ ম্যাচে। ৮ জয়ের ৭টিতেই শ্রীলঙ্কা জিতেছে আগে ব্যাট করে, পাকিস্তানের আবার ৮ জয়ই পরে ব্যাট করে। তবে শেষ তিন দেখার তিনটাতেই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। লাহোরের সেই সিরিজটি অবশ্য ছিল ৩ বছর আগে।
এই সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে অনেক বদল এসেছে। সুতরাং বলাই যায়, সেরা প্রস্তুতি নিয়েই শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামতে দুই দলই মুখিয়ে থাকবে।
সময় জার্নাল/এলআর