বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

মধুমতী নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে বসত ভিটা-আবাদি জমি

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
মধুমতী নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে বসত ভিটা-আবাদি জমি

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের মানুষের চিরচেনা বসত ভিটা ও আবাদি জমি। গত এক সপ্তাহ ধরে ৫ শ’ মিটার নদী ভাঙ্গনে ১৮টি বসত বাড়ি, প্রচুর গাছপালা ও ফসলী জমি বিলীন হয়েছে। সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের ডুবশী, মোল্লাপাড়া এবং ধলইতলা এলাকার মানুষ এখন নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা।

এদিকে পানি উন্নয়নবোর্ড ১০ হাজার বালুর বস্তা ফেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থ ১৮ টি পরিবারে নগদ ২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা, পরিবার প্রতি ৩০ কেজি চাল ও ২৪ খানা ঢেউটিন, শিশু খাদ্য, গো- খাদ্য ও শুকনো খাবার  বিতরণ করেছেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার ইউসুফসহ পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ইছাখালী গ্রামের ডুবশী মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজী আব্দুল কাফি মোল্লা (৭২) বলেন, আমার ওয়ালসেট টিনের বড় বসতঘর, ১০ বিঘা জমি,  স্যালো মেশিন নদীতে বিলীন হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকার। জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাদের সহায়তা ও সান্তনা দিয়েছেন। তিনি নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের দাবী স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ করা হোক।

জালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজা বলেন, আমার ইউনিয়নে ইছাখালী, ডুবশী ও ধলইতলায় প্রায় ৫শ’ মিটার জুড়ে নদী ভাঙন হয়েছে। ১৮টি পরিবার বসতঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করেছি। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, আপতত নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে নগদ টাকা, ঢেউ টিন ও চাল দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, ইছাখালী গ্রামের ডুবশী মোল্লাপাড়া চরে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ১০ হাজার বালুর বস্তা ফেলানো হয়েছে। ব্যাগে বালু ভরার কাজ চলছে। এগুলো গণনা করে নদীতে ফেলা হবে। স্থায়ী নদী ভাঙন প্রতিরোধ করতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানে হয়েছে।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল