জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
ব্যালট বা ইভিএমের চেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই বর্তমান কমিশনের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, আমরা যেটা চাচ্ছি ইভিএম বা ব্যালট মূল কথা নয়। মূল কথা হলো সবাইকে চেষ্টা করতে হবে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু-অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ইভিএম থাকলো কী ব্যালট থাকলো সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় এবং ইফেক্টিভ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হয়। তাহলে ইভিএম কী বিহ্যাভ করবে, ব্যালট কী বিহ্যাভ করবে সেটার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। ইভিএম-ব্যালটের আদৌ প্রয়োজন হবে কি না তারও নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।
এদিকে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানালেও সিইসি আজ জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ এটা ডিপেন্ড করবে যদি সরকার এ প্রকল্প অনুমোদন করে। এর আর্থিক সংশ্লিষ্টতা যেটা আছে সেটা যদি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে যথার্থ মনে না হয়, তাহলে এ ধরনের প্রজেক্ট অ্যালাউ নাও করতে পারে।
বর্তমান কমিশন বিচার বিশ্লেষণ এবং মতামত নিয়ে ইভিএম সম্পর্কে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান সিইসি।
তিনি বলেন, আমরা এসেই ইভিএমকে সমর্থন করিনি। আমাদের তরফ থেকে ইভিএম নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি। ছয় মাস হয়েছে আমাদের। আমরা দীর্ঘ সময় নিয়ে বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে ইভিএম যন্ত্রটাকে বোঝার চেষ্টা করেছি। ব্যাপক অংশগ্রহণও হয়েছে ইভিএম সম্পর্কে। এর মাধ্যমে ম্যানুপুলেশন হয় এমন কেউ দেখাতে পারেনি। এখন প্রকাশ্যে সবাই বলছেন, ইভিএম দিয়ে হ্যাকিং সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নেতাদের বলেছি, আপনারা আপনাদের কাজ করে যান। আমরা আপনাদের কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবো না। এটা সম্ভব নয়। ওনারও আমাদের বলেছেন- আপনারা ইভিএম নিয়ে কোনো প্রচারণা করছেন না। আমরা বলেছি এটা আমরা দেখবো।
সিইসি বলেন, উনারা (ফোরামের নেতারা) একটা বিষয়ে বলতে চেয়েছেন আমাদের এখানে হয়তো বিদেশি ডিপ্লোমেটরা আসেন। উনারা জানতে চেয়েছেন ডিপ্লোমেটরা আমাদের প্রভাবিত করেন কি না? আমি বলেছি উনারা ডিপ্লোম্যাট। উনারা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত। নির্বাচন নিয়ে প্রভাবিত করার মতো কোনো কথা কখনো বলেননি এবং বলবেনও না।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি কূটনীতিকরা অনেক সময় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কোনো এসিস্টেন্ট লাগবে কি না জানতে চান। তবে আমরা এখনো তাদের এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেইনি।
সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, আমরা সব সময় বলছি আপনারা নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করুন। অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে ফলপ্রসূ করুন। যাতে নির্বাচনটা সুন্দর হয় এবং জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
এমআই