জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক রাখতে বিকল্পব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবুও কোথায়ও কোথায়ও মোবাইল ডাটায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে মোবাইলে কথা বলতে গেলে কলড্রপও হচ্ছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এটা জাতীয় বিপর্যয়। নেটওয়ার্ক সচল রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে ১ হাজার বিটিএস (বেস ট্রান্সিভার স্টেশন) ক্রিটিক্যালি অ্যাফেক্টড হয়েছে। জেনারেটর দিয়ে যতটুকু সম্ভব ব্যাকআপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমি প্রতিনিয়ত অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সম্মিলিতভাবে এ বিপর্যয়ে সেবা সচল রাখার চেষ্টা করছি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ২টার দিকে এ বিপর্যয় ঘটে বলে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে। বিদ্যুতের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড বিকল হওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট ও খুলনা অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুৎ সমস্যায় এরই মধ্যে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ৩৩ হাজার টাওয়ার ও বিটিএস। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ১২ হাজার, রবির ১১ হাজার এবং বাংলালিংকের ৯ হাজার সাইটে রয়েছে। কেননা, ঢাকার বাইরের বিটিএসগুলো সাধারণত দু-তিন ঘণ্টা ব্যাকআপ দেয়।
সূত্রমতে, ২০১৪ সালের পর এটাই হতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, এ সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধানে ৯ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।
এমআই