নিজস্ব প্রতিনিধি:
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী তিন বছরে আমরা ভোজ্যতেলের আমদানি কমিয়ে আনবো। দেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবো। এখন ভোজ্যতেলের ৯০ ভাগই আমদানি করতে হয়। এ আমদানি আমরা ৪০-৫০ ভাগে নামিয়ে আনতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভূক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে দেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার, সে দেশকে ভোজ্যতেল আমদানিতে দুই বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এটি বিস্ময়কর। ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গেলে রাজনীতিতেও তা প্রভাব ফেলে।
তিনি আরও বলেন, কোনোক্রমেই বাংলাদেশ বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভশীল নয়, নির্ভরশীল থাকবেও না। দেশে চালের দাম অবশ্যই বেড়েছে। গমের দাম বেড়ে গেলে মানুষ চাল বেশি খায়৷ ফলে চালের দাম বাড়ে। এছাড়া রোহিঙ্গাদেরও দেশের চাল খাওয়াতে হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ- সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে চাপ আছে। চালের দাম বাড়ায় খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু খাদ্য নিয়ে দেশে হাহাকার নেই। আগে এ সময়ে অনেক জায়গায় মঙ্গা হতো, কিন্তু গত ১৩ বছরে কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, কৃষকরা এখন শুধু দেশের জন্য খাদ্য উৎপাদন করেন না, বিদেশেও রপ্তানি করেন। যেসব পণ্য আগে আমদানি হতো, সেসব এখন দেশের কৃষকরাই উৎপাদন করেন।
‘দেশের অর্থনীতি যে স্থিতিশীল আছে, তার মূল কারণ কৃষক। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সারাবিশ্বের খাদ্যসংকটের কথা বলেছেন, কেবলমাত্র বাংলাদেশের কথা বলেননি। আগামী বছর যে মহামন্দা আসছে সেসময়ও কৃষকদের জন্য বাংলাদেশ টিকে যাবে।’
সময় জার্নাল/এলআর