নিজস্ব প্রতিনিধি:
তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে বন্দর সেরি বেগাওয়ানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জুদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ব্রুনাইর সুলতান ও তার সফর সঙ্গীদের বিদায় জানান। এরপর সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে সুলতানকে বহনকারী বিশেষ বিমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শনিবার (১৫ অক্টোবর) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসেন ব্রুনাইয়ের সুলতান। ওইদিন দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুলতানকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে রাজ পরিবারের সদস্য, ব্রুনাইর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রাসহকারে তাকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ব্রুনাইর সুলতান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি যোগদান করেন। এরপর ১৬ অক্টোবর সকাল সোয়া ১০টায় সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন। জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা সুলতানকে অভ্যর্থনা জানান।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ব্রুনাইয়ের সুলতান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার তেজগাঁও কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক করেন। পরে পিএমও’র চামেলি হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চত্বরে ব্রুনাইয়ের সুলতান এসে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী টাইগার গেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
সময় জার্নাল/এলআর