শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার

রোববার, এপ্রিল ১৮, ২০২১
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার

সময় জার্নাল প্রতিবেদক, ঢাকা: পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দাবির মুখে সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগই এতে সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের খসড়া করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

এতে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনাসহ বিভিন্ন অপরাধে সাজা কমানো হচ্ছে। সম্প্রতি এ খসড়া ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও জনসাধারণের মতামত চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইনটি পাশ হয়। কিন্তু এটি কার্যকর হয় ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে। ওই সময় পরিবহন নেতাদের চাপে কয়েকটি ধারা প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর পরিবহন নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর সড়ক পরিবহন আইনের এ খসড়া তৈরি করা হয়।

খসড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে তা অজামিনযোগ্য ধারায় বহাল রাখা হয়েছে। তবে মারাত্মক আহত হওয়া শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আর্থিক দণ্ড পাঁচ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। কারাদণ্ড ৫ বছর আগের মতো রয়েছে। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে এ ধারায় বিচার করা যাবে। কিন্তু মারাত্মক আহত হলে সেটি এ ধারার অপরাধ হিসাবে বিবেচ্য হবে না। শুধু তাই নয়, বিদ্যমান ৮৪ ও ৯৮ নম্বর ধারা দুটি জামিনঅযোগ্য বিধান থেকে কমিয়ে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ৯৮ ধারায় ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হওয়ার বিধান রয়েছে। আর ৮৪ ধারায় মোটরযানের আকার পরিবর্তন সংক্রান্ত বিধান রয়েছে।

মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশনাবলি ধারা-৪৯(১) লঙ্ঘনের অপরাধে সাজা ৩ মাস কারাদণ্ড থেকে কমিয়ে এক মাস কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে অর্থদণ্ড আগের মতো ১০ হাজার টাকা বহাল রাখা হয়েছে। মোটরযান পার্কিং ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার সাজাও কমানো হয়েছে। এ অপরাধে বিদ্যমান আইনে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও খসড়া আইনে তা কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে।

খসড়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে। তিন চাকার গাড়ির চালকের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন করে অষ্টম শ্রেণির পরিবর্তে পঞ্চম শ্রেণি করা হয়েছে। অন্য পরিবহনগুলো চালানোর জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে একজন সহকারী বা সুপারভাইজারের ১০ বছরের গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকলে এবং ড্রাইভিং সক্ষমতা বোর্ড পাশ করলে তার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ কয়েকটি শর্ত মানা প্রয়োজন হবে না বলে খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া খসড়ায় ফিটনেস দেয়ার ক্ষেত্রে কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সাজা বাদ দেয়া হয়েছে। ২৫(২) ধারা অনুযায়ী ফিটনেসের অনুপযোগী কোনো মোটরযানের ফিটনেস সনদ দেয়ার সঙ্গে কোনো কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু খসড়ায় এটি বাদ দিয়ে বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে কোনোভাবেই ফিটনেস সনদ দেয়া যাবে না।

ট্রাফিক সাইন ও সংকেত লঙ্ঘনের অপরাধে সাজা কমিয়ে শুধুমাত্র এক হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও বিদ্যমান আইনে এ অপরাধে এক মাসের কারাদণ্ড ও অনধিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। একইভাবে কনট্রাক্ট ক্যারিজের মিটার অবৈধভাবে পরিবর্তন বা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায়, গণপরিবহনে ভাড়া চার্ট প্রদর্শন বা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সংক্রান্ত অপরাধেও সাজা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সময় জার্নাল/আরইউ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল