মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ডলারের দাম বাড়ায় চাল আমদানিতে অনীহা, ঝুঁকি নিতে চান না ব্যবসায়ীরা

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৮, ২০২২
ডলারের দাম বাড়ায় চাল আমদানিতে অনীহা, ঝুঁকি নিতে চান না ব্যবসায়ীরা


সময় জার্নাল ডেস্ক:


জুলাই থেকে অক্টোবর- এ চার মাসে ব্যবসায়ীদের ১০ লাখ ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার ৪১৭ টন চাল আমদানির কথা। সে হিসাবে ৪২ দিনে বিদেশ থেকে আসার কথা ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টন চাল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা গত ১ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ৩৪ হাজার টন চাল আমদানি করেছেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বাড়াতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাল আমদানির অনুমতি দিলেও তাতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ অনীহার কারণও ব্যাখ্যা করছেন তারা। এ প্রসঙ্গে আমদানিকারক এক ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, ভারতে সম্প্রতি চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। একই সময়ে দেশের বাজারে চলছে ডলার সংকট। এ অবস্থায় চাল আমদানি করে লোকসানের ঝুঁকি নিতে চান না ব্যবসায়ীরা।

jagonews24

চাল আমদানিতে ব্যবসায়ীদের অনীহার বিষয়ে কথা হয় নীলফামারী রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি ও অটো রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী এবং চাল আমদানিকারক শামসুল হকের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকার চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এখন কিছু কিছু আমদানি হচ্ছে, তবে সেটা সামান্য। আমদানি লক্ষ্যমাত্রার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আমদানি হয়েছে। আমরাও চাই আমদানি আরও বাড়ুক।


তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। আমদানি করা চাল পলিশ (চাল পরিষ্কার ও ঝকঝকে করার পদ্ধতি) করতে গেলে খরচ আরও বাড়বে। তখন বাজারদরের সঙ্গে আমদানি ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হবে। আমদানি ও পলিশে যে খরচ হবে সে দামে চাল বিক্রি করা যাবে না। এতে ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে। ডলারের বাজার স্থিতিশীল হলে আগামীতে হয়তো চাল আমদানি বাড়বে। এছাড়া ভারতে চালের বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতা ও ডলারের বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতাও দেশের ব্যবসায়ীদের আমদানিতে অনীহার বড় কারণ।


যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) তথ্য মতে, বাংলাদেশে ২০২১-২২ বিপণনবর্ষে (মে-এপ্রিল) এক কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টন চাল উৎপাদন হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে ১ কোটি ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে এ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টন, যা আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দুই লাখ টন কম।


তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের বোরো মৌসুমে ৪৭ লাখ হেক্টর জমিতে চাল উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টন। আউশ মৌসুমে ১১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ২৭ লাখ টন আর আমন মৌসুমে ৫৮ লাখ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ৩৮ লাখ টন চাল। চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের বোরো মৌসুমে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে চাল উৎপাদন হয় ১ কোটি ৯৭ লাখ টন।



এসএম 



Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল