সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
দেড় মাস আগে পাইকারি দর বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১ মাস ৮ দিনের মাথায় বিইআরসি সিদ্ধান্ত বদল করেছে কমিশন। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। মূল্য বৃদ্ধির এই ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) । পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এই সিদ্ধান্ত নেয়। পাইকারি পর্যায়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ টাকা ২২ পয়সা, যা আগে ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা।
অর্থনীতিবিদ, শেয়ার বাজার এবং ব্যাংকিং বিশ্লেষক এনবিইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ মনে করেন, সরকার অপারগ হয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, এই বাড়ানোর কারণ হল আমদানি ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়া।
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন এবং ফিনিশিড প্রোডাক্টস’র মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ কার্যকর ভূমিকা রাখে বিধায় এসব উৎপাদিত পণ্যের ভোক্তা পর্যায়ে কিরকম প্রভাব ফেলতে পারে।
অধ্যাপক পারভেজ বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে শিল্পউৎপাদনের খরচ বাড়বে, লোকাল ইন্ডাস্ট্রির খরচ বাড়বে। এর ফলে
জীবন যাত্রার খরচ বাড়বে। তবে এই ব্যয় কমাতে গৃহস্থালির বিদ্যুত সাশ্রয়ের পরামর্শ দেন তিনি।
আইএমএফের ঋণ পাওয়ার শর্ত পালন করতেই বেড়েছে বিদ্যুতের দাম বলে অনেকে মনে করলেও অধ্যাপক আহসানুল আলম পারভেজের মতে, এটা একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষন। বিদ্যুৎক্ষাতে ভর্তুকি দেয়ার সামর্থ্য সরকারের নেই বলে দাম বাড়ানো হয়েছে। পুরো বিষয়টা আইএমএফের ঘাড়ে চড়ানোটা যুক্তযুক্ত নয়।
এমআই