স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর ব্রাজিলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন তিতে। এরপর এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে, নতুন কোচ বাছাই করতে পারেনি ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। তবে শিগগির সুখবর দিতে পারে সেলেসাওরা। নেইমারদের নতুন কোচ হতে পারেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি লুইস এনরিকে। ক্রীড়া গণমাধ্যম ‘গোলডটকম’ জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে এনরিকেকে প্রস্তাব পাঠাবে সিবিএফ।
পেপ গার্দিওলা, জিনেদিন জিদান, মাউরোসিও পচেত্তিনো, রবার্তো মার্টিনেজ, মার্সেলো গালার্দো- সব লেজেন্ডারি ফুটবল ব্যক্তিত্বরা ব্রাজিলের সঙ্গে নাম জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তি বর্ধন করেছেন গার্দিওলা। জিজু জানিয়ে দিয়েছেন, সিবিএফে যোগ দেয়ার ইচ্ছা নেই তার। বেলজিয়াম ছেড়ে পর্তুগালে যোগ দিয়েছেন মার্টিনেজ। আপাতত লুইস এনরিকের মতো চাকরিহীন অবস্থায় আছেন গালার্দো ও পচেত্তিনো। শর্ট লিস্টেড এই কোচদের সঙ্গেই যোগাযোগ শুরু করছে সিবিএফ।
গোলডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে লুইস এনরিকের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাবেন ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট এদনালদো রদ্রিগেজ। বার্সেলোনায় লুইস এনরিকের সঙ্গে খেলতেন রোনাল্ডো নাজারিও ডি লিমা। গোলডটকম জানিয়েছে, লুইস এনরিকেকে রাজি করাতে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রোনাল্ডো। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম ইউনিভার্সোর খবর, জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করবে সিবিএফ।
কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় মরক্কোর কাছে হেরে বিদায় নেয় স্পেন। দলের ব্যর্থতার পর প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যান লুইস এনরিকে। স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্তের খবর, চাকরিহীন এনরিকেকে নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন।
ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলোর খবর বাস্তব রূপ নিলে মাত্র চতুর্থ বিদেশি কোচ হিসেবে ব্রাজিল ফুটবল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন লুইস এনরিকে। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে মাত্র তিনবার বিদেশি কোচের অধীনে খেলেছে ব্রাজিল। ১৯২৫ সালে চার ম্যাচে দলটির কোচ ছিলেন উরুগুইয়ান র্যামন প্লাতেরো। ১৯৪০ সালের দিকে দু’টি প্রীতি ম্যাচে সেলেসাওদের ডাগআউট সামলেছিলেন পর্তুগালের জোরেকা। আর সবশেষ ১৯৬৫ সালে আর্জেন্টাইন কোচ ফিলপো নুনিয়েজের অধীনে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিল ব্রাজিল।
এমআই