মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার (১ মার্চ) রাত ১০ টায় উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ঘটনার জের ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগকর্মী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সোহেল হাওলাদারের উপর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগকর্মী, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ১২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরির নেতৃত্বে প্রীতম সেন, সিফাত, সোহাগ, আল-আমিন, অভিসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী আচমকা হামলা করে।
এসময় সোহেলের সাথে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগকর্মী সত্যজিৎ সাহা সেতু, ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ, সৌমিকসহ কয়েকজন প্রতিরোধ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সোহেল হাওলাদারের চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয় এবং প্রীতম সেন নাকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
পরবর্তী সময়ে সোহেল হাওলাদারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয় এবং প্রীতম সেনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
সোহেল হাওলাদার বলেন, 'আমি কিছু বুঝে উঠার আগে হুট করে সামনে ও পিছন থেকে আমার উপর আক্রমণ করা হয়, এ সময় চোখে আঘাতের জন্য আমি কিছু দেখতে পাই নি, তবে অনুভব করতে পারছিলাম আমার বন্ধুরা আমাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।'
ঘটনার ব্যাপারে, ছাত্রলীগকর্মী সালমান চৌধুরি বলেন, 'আমি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে বের হয়ে দেখি আমার বন্ধু আহত অবস্থায় আসতেছে। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। আসলে আমি ঘটনার সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই।'
এ বিষয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, 'আমরা এটা নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ইলিয়াস ভাই (শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি) আসলে সন্ধ্যায় বসবো। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, 'আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টরিয়াল বডি, যাদের সাথে ঝামেলা হয়েছে তাদের এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে বসে মীমাংসার চেষ্টা করবো। যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
সময় জার্নাল/