মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
দেশের সাদা সোনা খ্যাত রপ্তানীযোগ্য গলদা ও বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের ঘটনা সাতক্ষীরায় যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের সাথে জড়িত অসাধু মাছ ব্যবসায়ীদের।
অপদ্রব্য পুশ বন্ধে মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হলেও, বেশিরভাগ সময়ে অপদ্রব্য পুশকৃত গলদা ও বাগদা চিংড়ির চালান পশাসনের নাগাল টপকে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন রপ্তানিকারত প্রতিষ্ঠান মাছ কোম্পানীতে।
দেশের বিভিন্ন রপ্তানিকারত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব মাছ চলে যাচ্ছে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর সেখানে যেয়ে আমাদের দেশের অনেক মাছে ধরা পড়ছে ম্যালাকাউট গ্রিন নামের একটি পদার্থ। ম্যালাকাউট গ্রিন এক ধরনের টেক্সটাইল ডাই। যা মাছের ক্ষেত্রে অ্যান্টি প্রোটোজোয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাস ওষুধ হিসাবে কাজ করে।
আমাদের দেশ থেকে রপ্তানী হওয়া কোন মাছে এই ম্যালাকাউট গ্রিন এর উপস্থিতিতে পেলে তা ফেরত আসছে। এত করে নিজেদের অজান্তেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মাছ ব্যবসায়িরা। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান জানান, চলতি ২০২২-২৩ মৌসুমে সাতক্ষীরায় ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৬০ হাজার ঘেরে চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে বাগদা চিংড়ি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার টন এবং গলদা চিংড়ি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার টন। কিন্তুতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ি চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় এর সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ পুশ বন্ধে আমরা এর ক্ষতিকর বিষয় তুলে ধরে জেলার ঘের মালিক, চাষী ও ব্যবসায়িদেরকে বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুশকৃত মাছ জব্দ করে তা বিনষ্ট করা হয়েছে। সাতক্ষীরার চিংড়ির সুনাম রক্ষায় আমাদের এধরনের কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর