আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া পাঁচ পর্যটককে জীবিত খুঁজে বের করতে হাতে সময় আছে আর মাত্র ২৬ ঘণ্টা। সাবমেরিনটির খোঁজে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার নৌবাহিনী এবং গভীর সাগরে কাজ করে এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কীভাবে এই উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে তা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাউগের।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি সাবমেরিন এবং সনার যন্ত্র নিয়ে সাবমেরিনটি খোঁজা হচ্ছে। পানির নিচে ও ওপরে দুইভাবে খোঁজা হচ্ছে। সাবমেরিনটি হয়তো কোথাও ভেসে উঠতে পারে, কিন্তু তাদের যোগাযোগ যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। সেজন্য বিমান দিয়ে সাগরের ওপরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে সনার যন্ত্র ব্যবহার করে পানির নিচেও তল্লাশি করা হচ্ছে। খবর- বিবিসি
মাউগের বলেন, ডুবোজাহাজটি পানির নিচে পাওয়া গেলে সেটিকে উদ্ধার করার জন্য নৌবাহিনীসহ তাদের আরও সহায়তা দরকার হবে।
তিনি জানান, উদ্ধারকারীরা এই অভিযানকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং নিখোঁজ পর্যটকদের ‘নিরাপদে বাড়ি’ ফিরিয়ে আনতে সাধ্যের মধ্যে থাকা সবকিছুই করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, রোববার সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে ছোট আকারের ওই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানির নিচে যাওয়ার সময় ডুবোজাহাজটিতে সাধারণত চারদিন চলার মতো জরুরি অক্সিজেন থাকে।
হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজটির নাম ‘টাইটান সাবমার্সিবল’। অনেকটা ট্রাক আকৃতির এই সাবমেরিনে পাঁচজন ব্যক্তি উঠতে পারেন। পোলার প্রিন্স নামের একটি জাহাজে বহন করে সাবমার্সিবল বা ছোট ডুবোজাহাজটিকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেটি যাত্রীদের নিয়ে সাগরের গভীরে যায়। ডুবোজাহাজটি পানির নিচে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পরই পোলার প্রিন্সের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মধ্য আটলান্টিক মহাসাগরের তিন হাজার ৮০০ মিটার বা সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে আটলান্টিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটদিনের এই ভ্রমণের জন্য আড়াই লাখ ডলার খরচ করতে হয়।
এমআই