আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে বিধ্বস্ত পর্যটন ডুবোযান টাইটানের ধ্বংসাবশেষের ভেতরে মানুষের দেহাবশেষ মিলেছে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।
এক শতকেরও আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পাঁচ অভিযাত্রী নিয়ে ১১ দিন আগে আটলান্টিকের নিচে গভীর ডুব দেয় টাইটান। পৌনে দুই ঘণ্টা পর ডুবোযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই সময়ই পানির চাপে টাইটান বিধ্বস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই ডুবোযানের উদ্ধার হওয়া কিছু ধ্বংসাবশেষ গতকাল বুধবার (২৮ জুন) কানাডার সেন্ট জন্স বন্দরে খালাস করা হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এসবের মধ্যে ডুবোযান টাইটানের ল্যান্ডিং ফ্রেম ও রিয়ার কাভার রয়েছে।
কোস্টগার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, টাইটানের ধ্বংসাবশেষে পাওয়া সম্ভাব্য মানব দেহাবশেষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
গত ১৮ জুন টাইটানে চড়ে টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন ডুবোযানটির পরিচালনাকারী সংস্থা ওশেনগেটের সিইও স্টকটন রাসম, পাইলট পল-হেনরি নারগোলেট, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ এবং ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং।
এর আগে বুধবার দিনের শুরুতে সমুদ্রের নিচ থেকে তুলে আনা টাইটানের ছিন্নভিন্ন ধ্বংসাবশেষ কানাডায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর মাধ্যমে শেষ হয় উদ্ধার অভিযান।
টাইটানের এসব ধ্বংসাবশেষ এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের একটি কাটারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ডুবোযানটি নিয়ে আরও বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে।
পরবর্তী সময়ে যেন এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য এই ডুযোযানট নিয়ে গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কোস্টগার্ডের ক্যাপ্টেন জেসন নিউবার।
এমআই