সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে প্রদত্ত রায় প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, অনুমতি ছাড়াই এ মানববন্ধন করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনে নেতাকর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে প্রদত্ত মামলা মিথ্যা বলে দাবি করেন।
মানববন্ধন শেষে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এই মানববন্ধনে প্রশাসনের অনুমতি আছে কি না? এ বিষয়ে জানতে প্রক্টরের কাছে যান। তখন প্রক্টর জানান, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নেই।
এ বিষয়ে ইউট্যাব'র সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শিক্ষকদের কর্মসূচিতে কেউ কখনও কোনো অনুমতি নেয়নি। আমরা এমন কিছু করিনি যে যার জন্য অনুমতি নিতে হবে। তারপরেও আমরা মানববন্ধন শুরুর দশ মিনিট আগে প্রক্টরকে অবহিত করেছি।'
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, 'বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মানববন্ধনের অনুমতি সম্পর্কে জানতে প্রক্টরের কাছে গিয়েছিলাম। তারা অনুমতি ছাড়াই এ মানববন্ধন করেছেন। তারা যেন কোনভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্ন ঘটাতে না পারে এ বিষয়ে আমরা উপাচার্যের সাথে দেখা করেছি। তিনি বলেছেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করার জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।'
প্রক্টর অধ্যাপক ড শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'তাদের প্রস্তুতির বিষয়ে আমি যখন জানতে পারি, তখন আমি প্রশাসনকে অবহিত করেছি। প্রশাসন বলেছে, এটা হাইকোর্টের নির্দেশনা। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আপনি তাদেরকে এটা করতে নিষেধ করুন।'
তিনি আরও বলেন,'পরে আমি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেনকে এ প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করি। তিনি বলেছেন, আমি আমাদের নেতাদের সাথে বসে এ ব্যাপারে আপনাকে জানাচ্ছি। পরে তিনি না জানিয়েই মানববন্ধন করেন। আমি ইবি থানার ওসিকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে জানতে উপাচার্যের সাথে দেখা করার অনুমতি চাইতে এসেছিল। পরে আমি উপাচার্যের পিএসের সাথে কথা বলিয়ে দিয়েছি।'
সময় জার্নাল/এলআর